Welcome to LookaFace
Sponsored

Download this Site app

You can download this site app for android phone from here easily.

Promoted Posts
#clash of clans account
#clash of clans account
Like
Love
6
1 Comments 0 Shares 1242 Views 0 Reviews
Recent Updates
All Countries
  • Chia seeds
    >>>>কতক্ষণ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলে সবচেয়ে বেশি উপকার?   ==== পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে চিয়া সিড বা চিয়াবীজ প্রায় অনেকেই খেয়ে থাকেন। সাধারণত রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রেখে সবাই খেয়ে থাকেন এটি। কেউ কেউ আবার কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখেন। আবার এমনটাও দেখা যায় রাতে ভিজিয়ে রাখতে ভুলে যাওয়ার কারণে পরদিন আর খাওয়া হয় না।   ====মনভুলার কারণে খেতে চাওয়ার পরও হয়তো...
    0 Comments 0 Shares 2 Views 0 Reviews
  • White Sesame
    ====শীতে সুস্থ রাখবে সাদা তিল- ==== বাঙালি রান্নায় খুব বেশি তিলের ব্যবহার হয় না। তবে শীতের মরসুমে অনেকেই বাড়িতে তিলের নাড়ু বানান, কেউ আবার বানিয়ে ফেলেন বরফি। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের মৌসুমে ডায়েটে নিয়মিত তিল খাওয়া জরুরি। তিল দিয়ে কেবল রান্নার স্বাদ বাড়ানো যায় তাই নয়, সাদা তিলের কিন্তু স্বাস্থ্যগুণও আছে। শীতকালে যখন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, তখন স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হলে কেন তিলকে...
    0 Comments 0 Shares 2 Views 0 Reviews
  • Ginger Tea
    ====শীতের সকালে আদা ও তুলসী পাতা খেলে কী হয়?  ==== শীতের সকালে শরীর ও মন থেকে অলসতা ঝেড়ে ফেলাই বড় চ্যালেঞ্জি হয়ে দাঁড়ায়। বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে কার উঠতে মনে চায়! এরপর আবার এসময় তার সঙ্গে যোগ হয় সর্দি, কাশি এবং বদহজমের মতো মৌসুমী স্বাস্থ্য সমস্যাও। যে কারণে শীতের সময়টা মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত রসদ আমাদের কাছে থাকা চাই। শীতের সকালে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য এক চা চামচ আদার...
    0 Comments 0 Shares 4 Views 0 Reviews
  • মাত্র ২০ টাকায় ‘কাজলরেখা’




    মনপুরা’খ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাজলরেখা’। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে এটি মুক্তি পায় দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। বাংলার রূপকথায় নির্মিত এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা চিত্রনায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী, শরীফুল রাজ, ইরেশ যাকের, মিথিলাসহ অনেকে। তারকাবহুল এই সিনেমাটি এবার দেখা যাবে মাত্র ২০ টাকায়, তাও আবার ঘরে বসে। নির্মাতা জানান, আগামী শনিবার থেকে ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পাচ্ছে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গতে।

    সিনেমার প্রধান চরিত্রে আছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। এছাড়াও এর মধ্যদিয়ে বড়পর্দায় নাম লিখিয়েছেন নাটকের জনপ্রিয় মুখ সাদিয়া আয়মান। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত ‘কাজলরেখা’। আর এই গীতিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য। সিনেমার শুটিং হয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওড় ও রাজধানীর মিরপুরে। আর এতে নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে শতাধিক শিল্পী-কলাকুশলীরা কাজ করেছেন।



    ‘কাজলরেখা’ সিনেমার একটি দৃশ্য
    মাত্র ২০ টাকায় ‘কাজলরেখা’ মনপুরা’খ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাজলরেখা’। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে এটি মুক্তি পায় দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। বাংলার রূপকথায় নির্মিত এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা চিত্রনায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী, শরীফুল রাজ, ইরেশ যাকের, মিথিলাসহ অনেকে। তারকাবহুল এই সিনেমাটি এবার দেখা যাবে মাত্র ২০ টাকায়, তাও আবার ঘরে বসে। নির্মাতা জানান, আগামী শনিবার থেকে ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পাচ্ছে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গতে। সিনেমার প্রধান চরিত্রে আছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। এছাড়াও এর মধ্যদিয়ে বড়পর্দায় নাম লিখিয়েছেন নাটকের জনপ্রিয় মুখ সাদিয়া আয়মান। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত ‘কাজলরেখা’। আর এই গীতিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য। সিনেমার শুটিং হয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওড় ও রাজধানীর মিরপুরে। আর এতে নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে শতাধিক শিল্পী-কলাকুশলীরা কাজ করেছেন। ‘কাজলরেখা’ সিনেমার একটি দৃশ্য
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা আবার কবে বিশ্বকাপ জিতবে, জানাল চ্যাটজিপিটি




    প্রযুক্তি বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ওপেনআই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। এর মাধ্যমে যখন যা খুশি জানা যায়। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি। ভবিষ্যদ্বাণী দিতেও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় চ্যাটজিপিটি। এই আগ্রহ থেকেই চ্যাটজিপিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, আবার কবে ফিফা বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। উত্তর দেখে অবাক হয়েছে সবাই।


    সবশেষ ২০২২ সালেই কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আলবিসেলেস্তারা। তবে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছে, পরপর দুইবার শিরোপা জেতা হচ্ছে না লিওনেল মেসির দলের। তবে ২০২৪ সালেই আবার শিরোপার মুখ দেখবে এরই মধ্যে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি।

    অন্যদিকে, বর্তমানে ব্রাজিলের ফুটবলের অবস্থা বেশ নাজুক। সবশেষ ২০০২ সালে শিরোপার মুখ দেখেছিল সেলেকাওরা। এরপর আর কোনো বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালও খেলতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও খুব একটা ভালো করতে পারছে না তারা। চ্যাটজিপিটি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপও নেই ব্রাজিলের ভাগ্যে।

    তবে ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য আশার বাণীও শুনিয়েছে চ্যাটজিপিটি। হলুদ জার্সিধারীদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ‘মিশন হেক্সা’ পূরণ হবে ২০৩০ সালেই। তার মানে, আর্জেন্টিনার আগেই পরের বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল।

    চ্যাটজিপিটি আরও জানিয়েছে, ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালের শিরোপাজয়ী ফ্রান্স শিরোপা জিতবে ২০২৬ বিশ্বকাপেও। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও রানার্স আপ হয়েছিল দলটি। চ্যাটজিপিটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ২০৩৮ ও ২০৪২ বিশ্বকাপ নিয়েও। ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। আর ২০৪২ বিশ্বকাপ জিতবে ইউরোপের পরাশক্তি এবং বর্তমানে চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

    চ্যাটজিপিটির উত্তর কতটা বিশ্বাসযোগ্য, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। তবে, ম্যাসিভ মাল্টিটাস্ক ল্যাঙ্গুয়েজ আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম। খেলাধুলার ক্ষেত্রে সেই অনুমান আরও ভালো।




    বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলের ক্যাসেমিরো। ছবি: সংগৃহীত
    ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা আবার কবে বিশ্বকাপ জিতবে, জানাল চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ওপেনআই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। এর মাধ্যমে যখন যা খুশি জানা যায়। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি। ভবিষ্যদ্বাণী দিতেও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় চ্যাটজিপিটি। এই আগ্রহ থেকেই চ্যাটজিপিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, আবার কবে ফিফা বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। উত্তর দেখে অবাক হয়েছে সবাই। সবশেষ ২০২২ সালেই কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আলবিসেলেস্তারা। তবে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছে, পরপর দুইবার শিরোপা জেতা হচ্ছে না লিওনেল মেসির দলের। তবে ২০২৪ সালেই আবার শিরোপার মুখ দেখবে এরই মধ্যে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি। অন্যদিকে, বর্তমানে ব্রাজিলের ফুটবলের অবস্থা বেশ নাজুক। সবশেষ ২০০২ সালে শিরোপার মুখ দেখেছিল সেলেকাওরা। এরপর আর কোনো বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালও খেলতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও খুব একটা ভালো করতে পারছে না তারা। চ্যাটজিপিটি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপও নেই ব্রাজিলের ভাগ্যে। তবে ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য আশার বাণীও শুনিয়েছে চ্যাটজিপিটি। হলুদ জার্সিধারীদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ‘মিশন হেক্সা’ পূরণ হবে ২০৩০ সালেই। তার মানে, আর্জেন্টিনার আগেই পরের বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল। চ্যাটজিপিটি আরও জানিয়েছে, ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালের শিরোপাজয়ী ফ্রান্স শিরোপা জিতবে ২০২৬ বিশ্বকাপেও। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও রানার্স আপ হয়েছিল দলটি। চ্যাটজিপিটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ২০৩৮ ও ২০৪২ বিশ্বকাপ নিয়েও। ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। আর ২০৪২ বিশ্বকাপ জিতবে ইউরোপের পরাশক্তি এবং বর্তমানে চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। চ্যাটজিপিটির উত্তর কতটা বিশ্বাসযোগ্য, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। তবে, ম্যাসিভ মাল্টিটাস্ক ল্যাঙ্গুয়েজ আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম। খেলাধুলার ক্ষেত্রে সেই অনুমান আরও ভালো। বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলের ক্যাসেমিরো। ছবি: সংগৃহীত
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দিন




    সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এছাড়া পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে আরো চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

    তারা হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো: আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ। এর আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রস্তাবিত ১০ জনের একটি তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন। সূত্র : ইউএনবি


    প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন - ছবি - ইন্টারনেট
    প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দিন সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এছাড়া পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে আরো চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো: আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ। এর আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রস্তাবিত ১০ জনের একটি তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন। সূত্র : ইউএনবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন - ছবি - ইন্টারনেট
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • রংপুরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল সদরে


    রংপুর ও আশপাশের এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এ কম্পান। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ১।

    রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান ভূকম্পনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রংপুর সদর থেকেই এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ১। তবে স্থায়িত্বকাল জানা যায়নি।


    প্রতীকী ছবি


    রংপুরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল সদরে রংপুর ও আশপাশের এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এ কম্পান। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ১। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান ভূকম্পনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রংপুর সদর থেকেই এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ১। তবে স্থায়িত্বকাল জানা যায়নি। প্রতীকী ছবি
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • ইরানে অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ জানানো সেই তরুণীর ভাগ্যে যা ঘটল



    শাস্তি ছাড়াই মুক্তি পেয়েছেন ইরানে অর্ধনগ্ন হয়ে হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো সেই তরুণী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। ঘটনাটি ইরানে বিরল। নারীদের জন্য কড়াকড়ি পোশাকবিধি রয়েছে ইরানে। দেশটিতে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক।

    ইরানের বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে শাস্তি ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    নভেম্বরের শুরুতে তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে শুধু অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ জানান ওই তরুণী। তিনি অভিযোগ করেন, সঠিকভাবে হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে হেনস্তা করেছেন। এর প্রতিবাদে তিনি পোষাক খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করেন।

    এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তী সময়ে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। যদিও তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্তর্বাস পরে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় তখন।
    পরে ওই তরুণীকে আটক করলে নিন্দা জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

    উল্লেখ্য, হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এর আগে ২০২২ সালে ইরানের নীতি পুলিশ ইরানি কুর্দি নারী মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় দেশটিতে বিপুলসংখ্যক নারী রাস্তায় নেমে পোশাকবিধির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক সহিংস উপায়ে এই বিক্ষোভ দমন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: বিবিসি


    ছবিসূত্র : সংগৃহীত
    ইরানে অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ জানানো সেই তরুণীর ভাগ্যে যা ঘটল শাস্তি ছাড়াই মুক্তি পেয়েছেন ইরানে অর্ধনগ্ন হয়ে হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো সেই তরুণী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। ঘটনাটি ইরানে বিরল। নারীদের জন্য কড়াকড়ি পোশাকবিধি রয়েছে ইরানে। দেশটিতে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। ইরানের বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে শাস্তি ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে শুধু অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ জানান ওই তরুণী। তিনি অভিযোগ করেন, সঠিকভাবে হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে হেনস্তা করেছেন। এর প্রতিবাদে তিনি পোষাক খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করেন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তী সময়ে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। যদিও তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্তর্বাস পরে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় তখন। পরে ওই তরুণীকে আটক করলে নিন্দা জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। উল্লেখ্য, হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এর আগে ২০২২ সালে ইরানের নীতি পুলিশ ইরানি কুর্দি নারী মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় দেশটিতে বিপুলসংখ্যক নারী রাস্তায় নেমে পোশাকবিধির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক সহিংস উপায়ে এই বিক্ষোভ দমন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: বিবিসি ছবিসূত্র : সংগৃহীত
    0 Comments 0 Shares 4 Views 0 Reviews
  • ইউক্রেনে প্রথমবার আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ রাশিয়ার


    ২১ নভেম্বর ইউক্রেনীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটি হামলার পর দিনিপ্রোতে কাজ করছেন। ছবি : এএফপি

    রাশিয়া বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে কিয়েভ জানিয়েছে।

    ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রুশ বাহিনী সকালে দিনিপ্রো শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বিশেষ করে, রুশ ফেডারেশনের আস্ত্রাখান অঞ্চল থেকে একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ক্রেমলিনের আক্রমণ শুরুর পর প্রথমবার এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হলো বলে বাহিনীটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    সূত্রটি আরো জানায়, এটি ‘স্পষ্ট’, প্রচলিত ও পারমাণবিক—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক বিস্ফোরক বহন করেনি। তবে মস্কো ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে কিনা জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তার ‘এই বিষয়ে কিছু বলার নেই’।

    এদিকে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে বিমানবাহিনী জানিয়েছে। তবে আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি (আইসিবিএম) ভূপাতিত হয়েছে কি না, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।




    দিনিপ্রো শহর যেখানে অবস্থিত, সেই বৃহত্তর অঞ্চলের প্রধান সের্হি লিসাক বলেছেন, রুশ বিমান হামলায় একটি পুনর্বাসনকেন্দ্র, কয়েকটি বাড়ি ও একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ৫৭ বছর বয়সী এক পুরুষকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ৪২ বছর বয়সী এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন মারাত্মক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে আরো সক্রিয় হয়েছে।

    অন্যদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বুধবার জানিয়েছে, লন্ডনের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কিয়েভ যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করেছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুটি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। তবে সেগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে নাকি অধিকৃত ইউক্রেনে ভূপাতিত হয়েছে তা উল্লেখ করেনি।

    সূত্র : এএফপি
    ইউক্রেনে প্রথমবার আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ রাশিয়ার ২১ নভেম্বর ইউক্রেনীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটি হামলার পর দিনিপ্রোতে কাজ করছেন। ছবি : এএফপি রাশিয়া বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে কিয়েভ জানিয়েছে। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রুশ বাহিনী সকালে দিনিপ্রো শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বিশেষ করে, রুশ ফেডারেশনের আস্ত্রাখান অঞ্চল থেকে একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ক্রেমলিনের আক্রমণ শুরুর পর প্রথমবার এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হলো বলে বাহিনীটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি আরো জানায়, এটি ‘স্পষ্ট’, প্রচলিত ও পারমাণবিক—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক বিস্ফোরক বহন করেনি। তবে মস্কো ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে কিনা জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তার ‘এই বিষয়ে কিছু বলার নেই’। এদিকে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে বিমানবাহিনী জানিয়েছে। তবে আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি (আইসিবিএম) ভূপাতিত হয়েছে কি না, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। দিনিপ্রো শহর যেখানে অবস্থিত, সেই বৃহত্তর অঞ্চলের প্রধান সের্হি লিসাক বলেছেন, রুশ বিমান হামলায় একটি পুনর্বাসনকেন্দ্র, কয়েকটি বাড়ি ও একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ৫৭ বছর বয়সী এক পুরুষকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ৪২ বছর বয়সী এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন মারাত্মক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে আরো সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বুধবার জানিয়েছে, লন্ডনের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কিয়েভ যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করেছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুটি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। তবে সেগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে নাকি অধিকৃত ইউক্রেনে ভূপাতিত হয়েছে তা উল্লেখ করেনি। সূত্র : এএফপি
    0 Comments 0 Shares 4 Views 0 Reviews
  • ২০২৫ সালে স্কুল ছুটি ৭৬ দিন


    ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন দপ্তর। এবার সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ছুটির প্রস্তাবিত তালিকা করা হয়েছে।

    প্রস্তাবিত ওই তালিকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। ওই তালিকায় দীর্ঘ ছুটি হচ্ছে ২৮ দিন।
    ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে টানা ১৫ দিন ছুটি থাকবে। দুর্গাপূজায় এবার ৮ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। অবশ্য এ ছুটির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি পড়বে।



    প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিনদিন ছুটি রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান যখন প্রয়োজনে এ ছুটিগুলো দিতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।

    ২০২৫ সালে স্কুল ছুটি ৭৬ দিন ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন দপ্তর। এবার সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ছুটির প্রস্তাবিত তালিকা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই তালিকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। ওই তালিকায় দীর্ঘ ছুটি হচ্ছে ২৮ দিন। ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে টানা ১৫ দিন ছুটি থাকবে। দুর্গাপূজায় এবার ৮ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। অবশ্য এ ছুটির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি পড়বে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিনদিন ছুটি রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান যখন প্রয়োজনে এ ছুটিগুলো দিতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।
    0 Comments 0 Shares 17 Views 0 Reviews
  • আইপিএলের মেগা নিলাম: কী, কখন, কীভাবে



    মেগা নিলাম কী
    আইপিএলে প্রতিবছরই খেলোয়াড় বিক্রির জন্য নিলাম হয়। তবে সব নিলাম মেগা নিলাম নয়। মেগা নিলাম সাধারণত তিন বছর পর পর হয়। যে বছর মেগা নিলাম হয়, সে বছর দলগুলো আগের মৌসুম থেকে সর্বোচ্চ ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারে। দল সাজানোর জন্য বাকি সব খেলোয়াড়ই কিনতে হয় নিলাম থেকে।

    আর মেগা নিলামের পরের দুই বছরে যে নিলামগুলো হয়, তাতে খেলোয়াড় বিক্রির পরিমাণ থাকে কম। কারণ, জায়গাই তখন কম খালি থাকে। মেগা নিলামে বেশি খেলোয়াড় বিক্রি হয় বলে এটি দুই দিনব্যাপী হয়।

    এবার মেগা নিলামে উঠছেন কতজন খেলোয়াড়
    আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মোট ১৫৭৪ জন খেলোয়াড়। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত নিলামে জায়গা পেয়েছেন ৫৭৫ জন খেলোয়াড়। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয়, ২০৯ জন বিদেশি (অ-ভারতীয়)। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ৪৮ জনের এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে (ক্যাপড), ৩১৮ জন এখনো অভিষেকের অপেক্ষায় (আনক্যাপড)।


    বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইংল্যান্ডের ৩৮ জন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ৩৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকার আছেন ৩১ জন, নিউজিল্যান্ডের ২৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২২, শ্রীলঙ্কার ১৯, আফগানিস্তানের ১৮, বাংলাদেশের ১২, জিম্বাবুয়ের ৩, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ২ জন করে, স্কটল্যান্ডের ১ জন।


    নিলামে কয়টি দল অংশ নিচ্ছে
    এবারের নিলামে অংশ নেবে ২০২৫ আইপিএলের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি।


    কতজন খেলোয়াড় নিলামে বিক্রি হবেন
    একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ২৫ ও সর্বনিম্ন ১৮ জনের স্কোয়াড তৈরি করতে পারবে। সুতরাং ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে সর্বোচ্চ ২৫০ জন খেলোয়াড় নিতে পারবে। এর মধ্যে ১০টি দল মিলে আগেই তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৪৬ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে। তার মানে সর্বোচ্চ ২০৪ জন খেলোয়াড় বিক্রি হবেন এবারের নিলামে। কোনো দল যদি ২৫ জনের স্কোয়াড না করে আরও ছোট স্কোয়াড করে, তাহলে সংখ্যাটা আরও কমে আসবে।

    কত টাকা খরচ করতে পারবে প্রতিটি দল
    একটা দল সর্বোচ্চ ১২০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আগেই চুক্তিবদ্ধ ৫ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে, যাঁদের পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এরই মধ্যে ৭৫ কোটি রুপি খরচ হয়ে গেছে। সুতরাং অন্তত ১৮ জনের স্কোয়াড গঠন করতে হলে মুম্বাইকে বাকি ৪৫ কোটি রুপি দিয়ে আরও ১৩ জন খেলোয়াড় কিনতে হবে।


    কোন দল কাদের ধরে রেখেছে
    মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: জসপ্রীত বুমরা (১৮ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (১৬.৩৫), হার্দিক পান্ডিয়া (১৬.৩৫), রোহিত শর্মা (১৬.৩০), তিলক বর্মা (৮ কোটি)।

    চেন্নাই সুপার কিংস: রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), মাতিশা পাতিরানা (১৩ কোটি), শিবম দুবে (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮ কোটি), মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ কোটি)।

    রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: বিরাট কোহলি (২১ কোটি), রজত পাতিদার (১১ কোটি), যশ দয়াল (৫ কোটি)।

    দিল্লি ক্যাপিটালস: অক্ষর প্যাটেল (১৬.৫ কোটি), কুলদীপ যাদব (১৩.২৫ কোটি), ট্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি), অভিষেক পোরেল (৪ কোটি)।

    কলকাতা নাইট রাইডার্স: রিংকু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনীল নারাইন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হর্ষিত রানা (৪ কোটি), রমনদীপ সিং (৪ কোটি)।

    সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় প্রথমবারের মতো আইপিএলের নিলাম হতে চলেছে
    সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় প্রথমবারের মতো আইপিএলের নিলাম হতে চলেছেছবি: ইনস্টাগ্রাম
    লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণয় (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি), আয়ুশ বাদোনি (৪ কোটি)।

    সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), নীতিশ রেড্ডি (৬ কোটি), হাইনরিখ ক্লাসেন (২৩ কোটি), ট্রাভিস হেড (১৪ কোটি)।

    গুজরাট টাইটানস: রশিদ খান (১৮ কোটি), শুবমান গিল (১৬.৫ কোটি), সাই সুদর্শন (৮.৫ কোটি), রাহুল তেওয়াতিয়া (৪ কোটি), শাহরুখ খান (৪ কোটি)।

    পাঞ্জাব কিংস: শশাঙ্ক সিং (৫.৫ কোটি), প্রভসিমরন সিং (৪ কোটি)।

    রাজস্থান রয়্যালস: সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সোয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)।

    মার্কি খেলোয়াড় কী
    দলগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে নিলামে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা করা হয়েছে। তাঁদের বলা হচ্ছে মার্কি খেলোয়াড়। এবার নিলামে মার্কি খেলোয়াড়দের দুটি সেট করা হয়েছে। প্রতি সেটে থাকছেন ৬ জন খেলোয়াড়।


    কীভাবে হবে নিলাম
    সবার আগে নিলামে উঠবেন মার্কি খেলোয়াড়েরা। তারপর এরই মধ্যে যাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে, তাঁদের নিজ নিজ বিশেষত্ব অনুযায়ী ভাগ করে নিলামে তোলা হবে, যেমন ব্যাটসম্যান, অলরাউন্ডার, উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, ফাস্ট বোলার, স্পিনার। এরপর একইভাবে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দের তোলা হবে নিলামে। ৫৭৪ জনের নিলাম শেষ হলে দলগুলো অবিক্রীত খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা দেবে। সেই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের আবার নিলামে তোলা হবে।

    রাইট টু ম্যাচ কার্ড কী? কীভাবে ব্যবহার করা যাবে
    সর্বশেষ আসরে একই দলে ছিলেন, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ জনকে রাখতে পেরেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই ৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা (ক্যাপড), সর্বোচ্চ ২ জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা (আনক্যাপড) খেলোয়াড়।

    এই ছয়জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার পদ্ধতি দুটি। একটি হচ্ছে নিলামের আগে সরাসরি চুক্তি করা। আরেকটি রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ড ব্যবহার করা। প্রশ্ন হচ্ছে, আরটিএম কার্ড কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?

    পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দেওয়ার পর কোনো খেলোয়াড় নিলামে গেলে তাঁকে বিভিন্ন দল বিড করে। বিডিং শেষ হওয়ার পর পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে তারা এই খেলোয়াড়ের জন্য আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে চায় কি না। সেই দল চাইলে তখন নিলামে যত সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল, একই দামে ওই খেলোয়াড়কে কিনে নিতে পারবে।

    মোস্তাফিজকে চাইলে আবার কিনতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংস
    মোস্তাফিজকে চাইলে আবার কিনতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংসছবি: বিসিসিআই
    উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২৫ আইপিএলের জন্য বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এখন ধরা যাক, মোস্তাফিজ নিলামে ওঠার পর তাঁর জন্য মুম্বাই সর্বোচ্চ ২ কোটি দাম বলল। এখন চেন্নাই চাইলে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে সেই ২ কোটি দামে আবার মোস্তাফিজকে কিনে নিতে পারবে।


    এ ক্ষেত্রে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি কোনো খেলোয়াড়ের জন্য আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে চায়, তখন সর্বোচ্চ বিড করা ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে তাদের বিড বাড়ানোর জন্য আরেকটা সুযোগ দেওয়া হবে। পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তারপরও খেলোয়াড়কে কিনতে চায়, তাহলে সেই বাড়তি বিডের দামেই কিনতে হবে।

    এর বাইরে পুরোনো কোনো খেলোয়াড়কে নিয়মিত বিডিং প্রক্রিয়ায় অন্য দলগুলোর সঙ্গে অংশ নিয়েও কেনা যাবে। তখন তারা ধরে রাখা খেলোয়াড়ের কোটায় পড়বেন না।


    ছবি: বিসিসিআই

    আইপিএলের মেগা নিলাম: কী, কখন, কীভাবে মেগা নিলাম কী আইপিএলে প্রতিবছরই খেলোয়াড় বিক্রির জন্য নিলাম হয়। তবে সব নিলাম মেগা নিলাম নয়। মেগা নিলাম সাধারণত তিন বছর পর পর হয়। যে বছর মেগা নিলাম হয়, সে বছর দলগুলো আগের মৌসুম থেকে সর্বোচ্চ ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারে। দল সাজানোর জন্য বাকি সব খেলোয়াড়ই কিনতে হয় নিলাম থেকে। আর মেগা নিলামের পরের দুই বছরে যে নিলামগুলো হয়, তাতে খেলোয়াড় বিক্রির পরিমাণ থাকে কম। কারণ, জায়গাই তখন কম খালি থাকে। মেগা নিলামে বেশি খেলোয়াড় বিক্রি হয় বলে এটি দুই দিনব্যাপী হয়। এবার মেগা নিলামে উঠছেন কতজন খেলোয়াড় আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মোট ১৫৭৪ জন খেলোয়াড়। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত নিলামে জায়গা পেয়েছেন ৫৭৫ জন খেলোয়াড়। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয়, ২০৯ জন বিদেশি (অ-ভারতীয়)। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ৪৮ জনের এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে (ক্যাপড), ৩১৮ জন এখনো অভিষেকের অপেক্ষায় (আনক্যাপড)। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইংল্যান্ডের ৩৮ জন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ৩৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকার আছেন ৩১ জন, নিউজিল্যান্ডের ২৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২২, শ্রীলঙ্কার ১৯, আফগানিস্তানের ১৮, বাংলাদেশের ১২, জিম্বাবুয়ের ৩, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ২ জন করে, স্কটল্যান্ডের ১ জন। নিলামে কয়টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের নিলামে অংশ নেবে ২০২৫ আইপিএলের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। কতজন খেলোয়াড় নিলামে বিক্রি হবেন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ২৫ ও সর্বনিম্ন ১৮ জনের স্কোয়াড তৈরি করতে পারবে। সুতরাং ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে সর্বোচ্চ ২৫০ জন খেলোয়াড় নিতে পারবে। এর মধ্যে ১০টি দল মিলে আগেই তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৪৬ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে। তার মানে সর্বোচ্চ ২০৪ জন খেলোয়াড় বিক্রি হবেন এবারের নিলামে। কোনো দল যদি ২৫ জনের স্কোয়াড না করে আরও ছোট স্কোয়াড করে, তাহলে সংখ্যাটা আরও কমে আসবে। কত টাকা খরচ করতে পারবে প্রতিটি দল একটা দল সর্বোচ্চ ১২০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আগেই চুক্তিবদ্ধ ৫ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে, যাঁদের পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এরই মধ্যে ৭৫ কোটি রুপি খরচ হয়ে গেছে। সুতরাং অন্তত ১৮ জনের স্কোয়াড গঠন করতে হলে মুম্বাইকে বাকি ৪৫ কোটি রুপি দিয়ে আরও ১৩ জন খেলোয়াড় কিনতে হবে। কোন দল কাদের ধরে রেখেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: জসপ্রীত বুমরা (১৮ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (১৬.৩৫), হার্দিক পান্ডিয়া (১৬.৩৫), রোহিত শর্মা (১৬.৩০), তিলক বর্মা (৮ কোটি)। চেন্নাই সুপার কিংস: রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), মাতিশা পাতিরানা (১৩ কোটি), শিবম দুবে (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮ কোটি), মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ কোটি)। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: বিরাট কোহলি (২১ কোটি), রজত পাতিদার (১১ কোটি), যশ দয়াল (৫ কোটি)। দিল্লি ক্যাপিটালস: অক্ষর প্যাটেল (১৬.৫ কোটি), কুলদীপ যাদব (১৩.২৫ কোটি), ট্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি), অভিষেক পোরেল (৪ কোটি)। কলকাতা নাইট রাইডার্স: রিংকু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনীল নারাইন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হর্ষিত রানা (৪ কোটি), রমনদীপ সিং (৪ কোটি)। সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় প্রথমবারের মতো আইপিএলের নিলাম হতে চলেছে সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় প্রথমবারের মতো আইপিএলের নিলাম হতে চলেছেছবি: ইনস্টাগ্রাম লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণয় (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি), আয়ুশ বাদোনি (৪ কোটি)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), নীতিশ রেড্ডি (৬ কোটি), হাইনরিখ ক্লাসেন (২৩ কোটি), ট্রাভিস হেড (১৪ কোটি)। গুজরাট টাইটানস: রশিদ খান (১৮ কোটি), শুবমান গিল (১৬.৫ কোটি), সাই সুদর্শন (৮.৫ কোটি), রাহুল তেওয়াতিয়া (৪ কোটি), শাহরুখ খান (৪ কোটি)। পাঞ্জাব কিংস: শশাঙ্ক সিং (৫.৫ কোটি), প্রভসিমরন সিং (৪ কোটি)। রাজস্থান রয়্যালস: সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সোয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)। মার্কি খেলোয়াড় কী দলগুলোর আগ্রহের ভিত্তিতে নিলামে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা করা হয়েছে। তাঁদের বলা হচ্ছে মার্কি খেলোয়াড়। এবার নিলামে মার্কি খেলোয়াড়দের দুটি সেট করা হয়েছে। প্রতি সেটে থাকছেন ৬ জন খেলোয়াড়। কীভাবে হবে নিলাম সবার আগে নিলামে উঠবেন মার্কি খেলোয়াড়েরা। তারপর এরই মধ্যে যাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে, তাঁদের নিজ নিজ বিশেষত্ব অনুযায়ী ভাগ করে নিলামে তোলা হবে, যেমন ব্যাটসম্যান, অলরাউন্ডার, উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, ফাস্ট বোলার, স্পিনার। এরপর একইভাবে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দের তোলা হবে নিলামে। ৫৭৪ জনের নিলাম শেষ হলে দলগুলো অবিক্রীত খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা দেবে। সেই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের আবার নিলামে তোলা হবে। রাইট টু ম্যাচ কার্ড কী? কীভাবে ব্যবহার করা যাবে সর্বশেষ আসরে একই দলে ছিলেন, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ জনকে রাখতে পেরেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই ৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা (ক্যাপড), সর্বোচ্চ ২ জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা (আনক্যাপড) খেলোয়াড়। এই ছয়জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার পদ্ধতি দুটি। একটি হচ্ছে নিলামের আগে সরাসরি চুক্তি করা। আরেকটি রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ড ব্যবহার করা। প্রশ্ন হচ্ছে, আরটিএম কার্ড কীভাবে ব্যবহার করতে হবে? পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দেওয়ার পর কোনো খেলোয়াড় নিলামে গেলে তাঁকে বিভিন্ন দল বিড করে। বিডিং শেষ হওয়ার পর পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে তারা এই খেলোয়াড়ের জন্য আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে চায় কি না। সেই দল চাইলে তখন নিলামে যত সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল, একই দামে ওই খেলোয়াড়কে কিনে নিতে পারবে। মোস্তাফিজকে চাইলে আবার কিনতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংস মোস্তাফিজকে চাইলে আবার কিনতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংসছবি: বিসিসিআই উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২৫ আইপিএলের জন্য বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এখন ধরা যাক, মোস্তাফিজ নিলামে ওঠার পর তাঁর জন্য মুম্বাই সর্বোচ্চ ২ কোটি দাম বলল। এখন চেন্নাই চাইলে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে সেই ২ কোটি দামে আবার মোস্তাফিজকে কিনে নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি কোনো খেলোয়াড়ের জন্য আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে চায়, তখন সর্বোচ্চ বিড করা ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে তাদের বিড বাড়ানোর জন্য আরেকটা সুযোগ দেওয়া হবে। পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তারপরও খেলোয়াড়কে কিনতে চায়, তাহলে সেই বাড়তি বিডের দামেই কিনতে হবে। এর বাইরে পুরোনো কোনো খেলোয়াড়কে নিয়মিত বিডিং প্রক্রিয়ায় অন্য দলগুলোর সঙ্গে অংশ নিয়েও কেনা যাবে। তখন তারা ধরে রাখা খেলোয়াড়ের কোটায় পড়বেন না। ছবি: বিসিসিআই
    0 Comments 0 Shares 19 Views 0 Reviews
  • মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জনের ওয়েবসাইট হ্যাক, লেখা ‘ওষুধ চোর’

    চার ঘণ্টা পর হ্যাকারদের দখল থেকে ওয়েবসাইটটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় বলে জানান সিভিল সার্জন।





    মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে কর্মকর্তার নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’ লেখা হয়; যা চার ঘণ্টার বেশি হ্যাকারদের দখলে ছিল।

    বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ওয়েবসাইটটি বিকাল ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন মকছেদুল মোমিন।

    সরকারি এই ওয়েবসাইট হ্যাক করে সিভিল সার্জনসহ অন্য চিকিৎসকের নামের পাশে হ্যাকাররা তাদের ইচ্ছেমতো শব্দ যুক্ত করে দেয়। সাইটটি হ্যাক হওয়ার পরপর একটি স্ক্রিনশট ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।


    বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, সিভিল সার্জন মো. মকছেদুল মোমিনের নামের পাশে ‘আমি ওষুধ চোর কিনা জানি না’ এমন লেখা দেখা যায়। এ ছাড়া কো-অর্ডিনেটর (এমও) ডা. ইসমত জাহান ভূঁইয়ার নামের পাশে ‘মোটামুটি’, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কাদের রিসাদের নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’, মেডিকেল অফিসার দিবাকর মণ্ডলের নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’ এবং মেডিকেল অফিসার (টিবি-লেসপ্রী) আল-আমীনের নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’ লিখে দেয় হ্যাকাররা।

    সিভিল সার্জন মকছেদুল মোমিন বলেন, “হ্যাকিংয়ের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর কোনো ঝুঁকি নেই।”

    হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে সিভিল সার্জনের ডিজি কার্যালয়, এনএসআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


    মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পর তোলা ছবি। Collected
    মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জনের ওয়েবসাইট হ্যাক, লেখা ‘ওষুধ চোর’ চার ঘণ্টা পর হ্যাকারদের দখল থেকে ওয়েবসাইটটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় বলে জানান সিভিল সার্জন। মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে কর্মকর্তার নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’ লেখা হয়; যা চার ঘণ্টার বেশি হ্যাকারদের দখলে ছিল। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ওয়েবসাইটটি বিকাল ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন মকছেদুল মোমিন। সরকারি এই ওয়েবসাইট হ্যাক করে সিভিল সার্জনসহ অন্য চিকিৎসকের নামের পাশে হ্যাকাররা তাদের ইচ্ছেমতো শব্দ যুক্ত করে দেয়। সাইটটি হ্যাক হওয়ার পরপর একটি স্ক্রিনশট ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, সিভিল সার্জন মো. মকছেদুল মোমিনের নামের পাশে ‘আমি ওষুধ চোর কিনা জানি না’ এমন লেখা দেখা যায়। এ ছাড়া কো-অর্ডিনেটর (এমও) ডা. ইসমত জাহান ভূঁইয়ার নামের পাশে ‘মোটামুটি’, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কাদের রিসাদের নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’, মেডিকেল অফিসার দিবাকর মণ্ডলের নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’ এবং মেডিকেল অফিসার (টিবি-লেসপ্রী) আল-আমীনের নামের পাশে ‘ওষুধ চোর’ লিখে দেয় হ্যাকাররা। সিভিল সার্জন মকছেদুল মোমিন বলেন, “হ্যাকিংয়ের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর কোনো ঝুঁকি নেই।” হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে সিভিল সার্জনের ডিজি কার্যালয়, এনএসআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পর তোলা ছবি। Collected
    0 Comments 0 Shares 21 Views 0 Reviews
  • #War তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে



    ইউক্রেন যুদ্ধের সহস্রতম দিন পার হলেও বন্ধের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধ বন্ধ হবে—এমন আশা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাস আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার পর সেই আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। এবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনকে মনুষ্যবিহীন মাইন সরবরাহ করার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে পূর্ব ইউরোপে বাড়ছে পরমাণু হামলার শঙ্কা।

    পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে সংঘাতে আরও অনেক দেশের জড়িয়ে পড়া আশ্চর্যের নয়। আর সেটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    রুশ বিমান হামলার আশঙ্কা, চার দেশের দূতাবাস বন্ধ

    রাশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে তেমন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এ হামলা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কারণ এর আগে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেনি। বরং ইউক্রেনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব সেই অনুমতি দেয়নি।

    কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে সেই অনুমতি দিয়ে যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এছাড়া তিনি ইউক্রেনকে মনুষ্যবিহীন মাইন দেওয়ার প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছেন। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে এই মাইন ইউক্রেনের ভেতরেই ব্যবহার করতে হবে। যদিও জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকায় ব্যবহার করতে পারবে না প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বাহিনী।

    রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার বিমান হামলা হতে পারে বলে তথ্য পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে দূতাবাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল এমন পদক্ষেপ নেয় ওয়াশিংটন।

    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, গতকাল বুধবার বিমান হামলা হতে পারে বলে সুনির্দিষ্ট করে তথ্য পেয়েছে তারা। এজন্য দ্রুত দূতাবাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, সতর্কতা হিসেবে দূতাবাস সাময়িক বন্ধ থাকবে। দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত ঘোষণা করা মাত্রই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে মার্কিন নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কবার্তার পর ন্যাটো সদস্যভুক্ত আরও তিন দেশ গ্রিস, ইতালি এবং স্পেনও তাদের দূতাবাস বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। কয়েক বার বিমান হামলার সতর্কতা দিতে সাইরেন বাজানো হয়। তিনটি দূতাবাসই তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বন্ধের একই কারণ উল্লেখ করেছে।

    ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সহস্রতম দিন। ঐদিন সকালে জেলেনস্কির বাহিনী আমেরিকার ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা চালায়। এর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সামরিক বিধি সংশোধন করেছেন।

    যুদ্ধ বন্ধের যে শর্ত রাশিয়ার

    তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেও আশা জাগিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন। এতে দাবি করা হয়, পাঁচ সাবেক ও বর্তমান রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্রেমলিন দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজি হতে পারে।

    তবে প্রধান দুটি শর্ত রয়েছে পুতিনের। প্রথমত, যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে দিতে হবে।

    শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনো ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেনকে। এই শর্তগুলো পূরণ হলে শান্তি ফিরতে পারে ইউক্রেনে।

    রাশিয়ার বড় অগ্রগতি

    ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বা আইএসডব্লিউর তথ্যউপাত্ত থেকে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইউক্রেনের যে পরিমাণ ভূমি রাশিয়া দখল করেছিল তার চেয়ে অন্তত ছয় গুণ বেশি ভূমি চলতি বছরে তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

    তারা এখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস এলাকায় দেশটির লজিস্টিক বা রসদ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়ার তুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যে বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল, সেটি এখন নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ান বাহিনী তাদের পেছনের দিকে যেতে বাধ্য করছে। বিশ্লেষকরা কিয়েভের ঐ আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

    তারা এ পরিস্থিতিকে কৌশলগত বিপর্যয় উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে ইউক্রেন এখন লোকবল-সংকটের মুখে পড়েছে।
    #War তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে ইউক্রেন যুদ্ধের সহস্রতম দিন পার হলেও বন্ধের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধ বন্ধ হবে—এমন আশা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাস আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার পর সেই আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। এবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনকে মনুষ্যবিহীন মাইন সরবরাহ করার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে পূর্ব ইউরোপে বাড়ছে পরমাণু হামলার শঙ্কা। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে সংঘাতে আরও অনেক দেশের জড়িয়ে পড়া আশ্চর্যের নয়। আর সেটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। রুশ বিমান হামলার আশঙ্কা, চার দেশের দূতাবাস বন্ধ রাশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে তেমন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এ হামলা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কারণ এর আগে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেনি। বরং ইউক্রেনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব সেই অনুমতি দেয়নি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে সেই অনুমতি দিয়ে যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া তিনি ইউক্রেনকে মনুষ্যবিহীন মাইন দেওয়ার প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছেন। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে এই মাইন ইউক্রেনের ভেতরেই ব্যবহার করতে হবে। যদিও জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকায় ব্যবহার করতে পারবে না প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বাহিনী। রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার বিমান হামলা হতে পারে বলে তথ্য পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে দূতাবাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল এমন পদক্ষেপ নেয় ওয়াশিংটন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, গতকাল বুধবার বিমান হামলা হতে পারে বলে সুনির্দিষ্ট করে তথ্য পেয়েছে তারা। এজন্য দ্রুত দূতাবাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, সতর্কতা হিসেবে দূতাবাস সাময়িক বন্ধ থাকবে। দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত ঘোষণা করা মাত্রই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে মার্কিন নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কবার্তার পর ন্যাটো সদস্যভুক্ত আরও তিন দেশ গ্রিস, ইতালি এবং স্পেনও তাদের দূতাবাস বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। কয়েক বার বিমান হামলার সতর্কতা দিতে সাইরেন বাজানো হয়। তিনটি দূতাবাসই তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বন্ধের একই কারণ উল্লেখ করেছে। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সহস্রতম দিন। ঐদিন সকালে জেলেনস্কির বাহিনী আমেরিকার ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা চালায়। এর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সামরিক বিধি সংশোধন করেছেন। যুদ্ধ বন্ধের যে শর্ত রাশিয়ার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেও আশা জাগিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন। এতে দাবি করা হয়, পাঁচ সাবেক ও বর্তমান রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্রেমলিন দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজি হতে পারে। তবে প্রধান দুটি শর্ত রয়েছে পুতিনের। প্রথমত, যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে দিতে হবে। শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনো ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেনকে। এই শর্তগুলো পূরণ হলে শান্তি ফিরতে পারে ইউক্রেনে। রাশিয়ার বড় অগ্রগতি ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বা আইএসডব্লিউর তথ্যউপাত্ত থেকে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইউক্রেনের যে পরিমাণ ভূমি রাশিয়া দখল করেছিল তার চেয়ে অন্তত ছয় গুণ বেশি ভূমি চলতি বছরে তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তারা এখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস এলাকায় দেশটির লজিস্টিক বা রসদ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়ার তুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যে বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল, সেটি এখন নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ান বাহিনী তাদের পেছনের দিকে যেতে বাধ্য করছে। বিশ্লেষকরা কিয়েভের ঐ আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তারা এ পরিস্থিতিকে কৌশলগত বিপর্যয় উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে ইউক্রেন এখন লোকবল-সংকটের মুখে পড়েছে।
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • #Jaguar বিদ্যুচ্চালিত গাড়িকে সামনে রেখে জাগুয়ারের নতুন লোগো




    ২০২৬ সালে তিনটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বাজারে আনবে ব্রিটিশ লাক্সারি কারমেকার জাগুয়ার। ২০২৬ সালে তিনটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বাজারে আনবে ব্রিটিশ লাক্সারি কারমেকার জাগুয়ার। এ উপলক্ষে নতুন গাড়ি বিক্রি বন্ধ রেখেছে টাটা মোটরসের মালিকানাধীন কোম্পানিটি। এর সঙ্গে ইলেকট্রিক-অনলি ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন লোগাে উন্মোচন করল তারা। লোগোয় জাগুয়ারের বানানে বড় ও ছোট হাতের অক্ষরের সমন্বয়ের পাশাপাশি ক্ষিপ্রগতির প্রাণীটি নতুন রূপ পেয়েছে। জাগুয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রডন গ্লোভার জানিয়েছেন, পুরনো ও নতুন গাড়ির মধ্যে ব্যবধান রাখতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিক্রি বন্ধ রেখেছে কোম্পানিটি। রিব্র্যান্ডিং সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাগুয়ার সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে।’ খবর ও ছবি বিবিসি

    #Jaguar বিদ্যুচ্চালিত গাড়িকে সামনে রেখে জাগুয়ারের নতুন লোগো ২০২৬ সালে তিনটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বাজারে আনবে ব্রিটিশ লাক্সারি কারমেকার জাগুয়ার। ২০২৬ সালে তিনটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বাজারে আনবে ব্রিটিশ লাক্সারি কারমেকার জাগুয়ার। এ উপলক্ষে নতুন গাড়ি বিক্রি বন্ধ রেখেছে টাটা মোটরসের মালিকানাধীন কোম্পানিটি। এর সঙ্গে ইলেকট্রিক-অনলি ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন লোগাে উন্মোচন করল তারা। লোগোয় জাগুয়ারের বানানে বড় ও ছোট হাতের অক্ষরের সমন্বয়ের পাশাপাশি ক্ষিপ্রগতির প্রাণীটি নতুন রূপ পেয়েছে। জাগুয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রডন গ্লোভার জানিয়েছেন, পুরনো ও নতুন গাড়ির মধ্যে ব্যবধান রাখতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিক্রি বন্ধ রেখেছে কোম্পানিটি। রিব্র্যান্ডিং সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাগুয়ার সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে।’ খবর ও ছবি বিবিসি
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • #Gold আগামী বছর রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে স্বর্ণের দাম




    ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী ছিল স্বর্ণের দাম। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন মেয়াদ চলাকালেও মূল্যবান ধাতুটির দাম আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। আগামী বছর অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর মধ্যে স্বর্ণের ব্যবসা সবচেয়ে বেশি হতে পারে। এ সময় রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে ধাতুটির দাম। খবর দি ইকোনমিক টাইমস, রয়টার্স।


    গোল্ডম্যান স্যাকস জানায়, আগামী বছর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় বাড়বে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভও (ফেড) কমাতে পারে সুদহার। এসব সম্ভাবনা আগামী বছর স্বর্ণের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।


    একটি নোটে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন গোল্ডম্যান স্যাকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যান স্ট্রুইভেনসহ অন্যান্য বিশ্লেষক। নোটে তারা বলেন, ‘এমন পূর্বাভাসের মূল চালক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচ্চ চাহিদা আর ফেডের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা।’


    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ডলারের বিনিময় হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের দামে। ট্রাম্পের শাসনামলে এ নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেক বিশ্লেষক। তবে গোল্ডম্যান স্যাকস জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনও স্বর্ণের দাম বাড়ার জন্য সহায়ক হতে পারে।

    বিনিয়োগ ব্যাংকটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে বাণিজ্য বিরোধ বাড়লে স্বর্ণ খাতে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের ঝোঁক বাড়তে পারে। এছাড়া মার্কিন আর্থিক স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগও মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

    নোটে বিশ্লেষকরা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে যারা বড় ইউএস ট্রেজারি রিজার্ভ ধরে রেখেছে, তারা মূল্যবান ধাতুটির ক্রয় আরো বাড়াতে পারে।’

    এদিকে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ থেকে গতকাল বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম।

    স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ২ হাজার ৬২২ ডলার ২২ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম কমেছে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশ। আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৬২৫ ডলার ৩০ সেন্টে।

    এদিকে স্পট মার্কেটে গতকাল রুপার দাম কমেছে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ৩০ ডলার ৯৩ সেন্টে। প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৯৬৩ ডলার ৩ সেন্টে স্থির হয়েছে। গতকাল প্যালাডিয়ামের দাম কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ১ হাজার ২৫ ডলারে।


    ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় গতকাল স্পট মার্কেটে কমেছে স্বর্ণের দাম | ছবি: রয়টার্স
    #Gold আগামী বছর রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে স্বর্ণের দাম ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী ছিল স্বর্ণের দাম। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন মেয়াদ চলাকালেও মূল্যবান ধাতুটির দাম আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। আগামী বছর অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর মধ্যে স্বর্ণের ব্যবসা সবচেয়ে বেশি হতে পারে। এ সময় রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে ধাতুটির দাম। খবর দি ইকোনমিক টাইমস, রয়টার্স। গোল্ডম্যান স্যাকস জানায়, আগামী বছর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় বাড়বে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভও (ফেড) কমাতে পারে সুদহার। এসব সম্ভাবনা আগামী বছর স্বর্ণের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। একটি নোটে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন গোল্ডম্যান স্যাকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যান স্ট্রুইভেনসহ অন্যান্য বিশ্লেষক। নোটে তারা বলেন, ‘এমন পূর্বাভাসের মূল চালক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচ্চ চাহিদা আর ফেডের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ডলারের বিনিময় হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের দামে। ট্রাম্পের শাসনামলে এ নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেক বিশ্লেষক। তবে গোল্ডম্যান স্যাকস জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনও স্বর্ণের দাম বাড়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। বিনিয়োগ ব্যাংকটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে বাণিজ্য বিরোধ বাড়লে স্বর্ণ খাতে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের ঝোঁক বাড়তে পারে। এছাড়া মার্কিন আর্থিক স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগও মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। নোটে বিশ্লেষকরা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে যারা বড় ইউএস ট্রেজারি রিজার্ভ ধরে রেখেছে, তারা মূল্যবান ধাতুটির ক্রয় আরো বাড়াতে পারে।’ এদিকে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ থেকে গতকাল বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ২ হাজার ৬২২ ডলার ২২ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম কমেছে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশ। আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৬২৫ ডলার ৩০ সেন্টে। এদিকে স্পট মার্কেটে গতকাল রুপার দাম কমেছে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ৩০ ডলার ৯৩ সেন্টে। প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৯৬৩ ডলার ৩ সেন্টে স্থির হয়েছে। গতকাল প্যালাডিয়ামের দাম কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ১ হাজার ২৫ ডলারে। ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় গতকাল স্পট মার্কেটে কমেছে স্বর্ণের দাম | ছবি: রয়টার্স
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ




    রাজধানীর মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছে অটোরিকশা চালকরা। ফলে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে সারাদেশে (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও পদ্মা সেতু রুট ছাড়া) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।


    তিনি বলেছেন, অটোরিকশা চালকরা রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করছে। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। সকাল ১০টার পরে কোনো ট্রেন ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি এবং আসছেও না। ঢাকামুখী ট্রেনগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছে।




    মহাখালীতে রেললাইনের ওপর বসে অটোরিকশা চালকদের অবরোধ | ছবি- সংগৃহীত

    ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাজধানীর মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছে অটোরিকশা চালকরা। ফলে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে সারাদেশে (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও পদ্মা সেতু রুট ছাড়া) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, অটোরিকশা চালকরা রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করছে। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। সকাল ১০টার পরে কোনো ট্রেন ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি এবং আসছেও না। ঢাকামুখী ট্রেনগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছে। মহাখালীতে রেললাইনের ওপর বসে অটোরিকশা চালকদের অবরোধ | ছবি- সংগৃহীত
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • আদালতে আইনজীবীদের ওপর হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র



    সম্প্রতি দেশের আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে। এক সাংবাদিকেরন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।

    বুধবার (২০ নভেম্বর, স্থানীয় সময়) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর উপর হামলা এবং সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। সেখানে তিনি মিলারের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর উপর আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা আপনি কীভাবে দেখছেন। এছাড়া দেশটির মানবাধিকার, আইনি সুরক্ষা এবং আইনের শাসনের বৃহত্তর প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রশ্নে বর্তমান সরকারের আমলেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে। আমরা বাংলাদেশি জনগণের মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চাই। পরে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন করেন ওই সাংবাদিক।

    স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের কাছে তিনি জানতে চান, এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা অপসারণের কথা বিবেচনা করছে যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? জবাবে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
    আদালতে আইনজীবীদের ওপর হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দেশের আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে। এক সাংবাদিকেরন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর, স্থানীয় সময়) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর উপর হামলা এবং সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। সেখানে তিনি মিলারের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর উপর আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা আপনি কীভাবে দেখছেন। এছাড়া দেশটির মানবাধিকার, আইনি সুরক্ষা এবং আইনের শাসনের বৃহত্তর প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রশ্নে বর্তমান সরকারের আমলেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে। আমরা বাংলাদেশি জনগণের মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চাই। পরে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন করেন ওই সাংবাদিক। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের কাছে তিনি জানতে চান, এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা অপসারণের কথা বিবেচনা করছে যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? জবাবে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত



    অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।



    মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    ‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

    সম্মেলনে ৫ আগস্টের আগে ও পরের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকেরা। এ সময় গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টবিরোধী অবস্থানে পাশে থাকায় যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সবাইকে ধন্যবাদ জানান ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আতাউল্লাহ ফারুক।


    সম্মেলেনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক। সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।’

    লর্ড হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।’ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানান মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান আব্বাস ফায়েজ। এ ছাড়া সম্মেলেনে আলোচক হিসেবে অংশ নেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী মাইকেল পোলাক, আইনজীবী নাজির আহমেদ প্রমুখ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
    ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন। সম্মেলনে ৫ আগস্টের আগে ও পরের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকেরা। এ সময় গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টবিরোধী অবস্থানে পাশে থাকায় যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সবাইকে ধন্যবাদ জানান ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আতাউল্লাহ ফারুক। সম্মেলেনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক। সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।’ লর্ড হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।’ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানান মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান আব্বাস ফায়েজ। এ ছাড়া সম্মেলেনে আলোচক হিসেবে অংশ নেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী মাইকেল পোলাক, আইনজীবী নাজির আহমেদ প্রমুখ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, মধ্যরাতে লাইভে এসে অভিযোগ তিশার




    বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী তাসনুভা তিশার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে লাইভে এসে এ আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই ফেসবুক পেজ এবং ওই পেজের কর্ণধারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন তাসনুভা তিশা। এর আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই যুবকের ছবি পোস্ট করে তার পরিচয় জানতে চান তিনি।

    অভিনেত্রী বলেন, শুটিং সেটে তিনিসহ আরও কয়েকজনের লুকিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছেন এক যুবক। পরে সেই ভিডিওগুলো ‘কাউসার কিংডম’ নামে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ফেসবুক লাইভে তিশা বলেন, কিছুক্ষণ আগে এক ব্যক্তির ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেছি। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। চার-পাঁচ দিন আগে নবাবগঞ্জে আমাদের শুটিং ছিল। বাপ্পি খানের পরিচালনায় একটি নাটক করছিলাম। সেখানে অনেক সাংবাদিক এসেছিলেন। আমার ও আমার সহশিল্পী আরশ খানের সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে উনি ছিলেন। আমি ভেবেছিলাম তিনি সাংবাদিক। কিন্তু এই লোক সাংবাদিক তো দূরের কথা, তিনি আদৌ মানুষ কিনা আমার সন্দেহ। কারণ তিনি লুকিয়ে বিভিন্ন অভিনেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন, যেটা আমারও করেছেন। সেটির ভিউ ২ দশমিক ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে গেছে এবং নামানো সত্ত্বেও অনেকের কাছে আছে।

    তাসনুভা তিশা বলেন, আউটডোর শুটিংয়ে আমরা যারা অভিনেতা-অভিনেত্রী, আমাদের লেপেল পরার আলাদা কোনো জায়গা থাকে না। নিজেদের মতো করে পরতে হয়। আমি খোলা মাঠে শুটিং করছিলাম। সামনে সাংবাদিকরা ছিলেন। ভেবেছিলাম, সাংবাদিক ভাইয়েরা কখনো এমন কাজ করবেন না। তাই আমার মতো করে লেপেল পরছিলাম এবং ঠিক করছিলাম। সেই ভিডিও সে ধারণ করে ‘কাউসার কিংডম’ নামের এক পেজে আপলোড করেন।


    তিনি বলেন, কতটা বিবেকহীন ও শিক্ষার অভাব হলে মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে! এ ধরনের কিছু ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন, কিন্তু তারা আসলে সাংবাদিক নয়। এ অভিনেত্রী বলেন, একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি এই লোকের বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাকশন নেব। তিনি কোনো শুটিং স্পটের আশপাশে যেন কখনো না আসেন। তাকে বয়কট করা উচিত। তিনি বলেন, হয়তো বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার ভিডিও নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার পেজে শুধু আমি না, আরও অনেক অভিনেত্রীর ভিডিও আছে যেগুলো তিনি লুকিয়ে ধারণ করেছেন। লুকিয়ে ধারণ করে আপত্তিকর ভিডিও পেজে পোস্ট করেন। সেখানে সারিকা সাবাহ আপু, অর্চিতা স্পর্শিয়া, তানিয়া বৃষ্টি, কুসুম শিকদার আপুর ভিডিও দেখেছি।

    অভিযুক্ত যুবকের নাম উল্লেখ করে তিশা বলেন, কাউসার নামে এই লোক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হয়তো সবার মাঝে যান, গিয়ে এ কাজগুলো করেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশে বলব— আপনাদের নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে করণীয় কিছু আছে। আমার কলাকুশলী, যারা আছেন, অভিনেত্রী-অভিনেতারা, যাদের নাম মেনশন করলাম, আপনারা এ বিষয়ে পরামর্শ দিন, জানাবেন কি করা উচিত?

    অভিনেত্রী শেষে বলেন, এই লোকের বিরুদ্ধে আমি অ্যাকশন নিতে চাই। সে যেন সাংবাদিকতা তো দূরের কথা, কোনো শুটিং স্পট, কোনো অনুষ্ঠান কিংবা মিডিয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আশপাশে যেন না আসতে পারে। তাকে বয়কট করা হোক।

    আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, মধ্যরাতে লাইভে এসে অভিযোগ তিশার বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী তাসনুভা তিশার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে লাইভে এসে এ আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই ফেসবুক পেজ এবং ওই পেজের কর্ণধারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন তাসনুভা তিশা। এর আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই যুবকের ছবি পোস্ট করে তার পরিচয় জানতে চান তিনি। অভিনেত্রী বলেন, শুটিং সেটে তিনিসহ আরও কয়েকজনের লুকিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছেন এক যুবক। পরে সেই ভিডিওগুলো ‘কাউসার কিংডম’ নামে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফেসবুক লাইভে তিশা বলেন, কিছুক্ষণ আগে এক ব্যক্তির ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেছি। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। চার-পাঁচ দিন আগে নবাবগঞ্জে আমাদের শুটিং ছিল। বাপ্পি খানের পরিচালনায় একটি নাটক করছিলাম। সেখানে অনেক সাংবাদিক এসেছিলেন। আমার ও আমার সহশিল্পী আরশ খানের সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে উনি ছিলেন। আমি ভেবেছিলাম তিনি সাংবাদিক। কিন্তু এই লোক সাংবাদিক তো দূরের কথা, তিনি আদৌ মানুষ কিনা আমার সন্দেহ। কারণ তিনি লুকিয়ে বিভিন্ন অভিনেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন, যেটা আমারও করেছেন। সেটির ভিউ ২ দশমিক ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে গেছে এবং নামানো সত্ত্বেও অনেকের কাছে আছে। তাসনুভা তিশা বলেন, আউটডোর শুটিংয়ে আমরা যারা অভিনেতা-অভিনেত্রী, আমাদের লেপেল পরার আলাদা কোনো জায়গা থাকে না। নিজেদের মতো করে পরতে হয়। আমি খোলা মাঠে শুটিং করছিলাম। সামনে সাংবাদিকরা ছিলেন। ভেবেছিলাম, সাংবাদিক ভাইয়েরা কখনো এমন কাজ করবেন না। তাই আমার মতো করে লেপেল পরছিলাম এবং ঠিক করছিলাম। সেই ভিডিও সে ধারণ করে ‘কাউসার কিংডম’ নামের এক পেজে আপলোড করেন। তিনি বলেন, কতটা বিবেকহীন ও শিক্ষার অভাব হলে মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে! এ ধরনের কিছু ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন, কিন্তু তারা আসলে সাংবাদিক নয়। এ অভিনেত্রী বলেন, একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি এই লোকের বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাকশন নেব। তিনি কোনো শুটিং স্পটের আশপাশে যেন কখনো না আসেন। তাকে বয়কট করা উচিত। তিনি বলেন, হয়তো বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার ভিডিও নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার পেজে শুধু আমি না, আরও অনেক অভিনেত্রীর ভিডিও আছে যেগুলো তিনি লুকিয়ে ধারণ করেছেন। লুকিয়ে ধারণ করে আপত্তিকর ভিডিও পেজে পোস্ট করেন। সেখানে সারিকা সাবাহ আপু, অর্চিতা স্পর্শিয়া, তানিয়া বৃষ্টি, কুসুম শিকদার আপুর ভিডিও দেখেছি। অভিযুক্ত যুবকের নাম উল্লেখ করে তিশা বলেন, কাউসার নামে এই লোক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হয়তো সবার মাঝে যান, গিয়ে এ কাজগুলো করেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশে বলব— আপনাদের নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে করণীয় কিছু আছে। আমার কলাকুশলী, যারা আছেন, অভিনেত্রী-অভিনেতারা, যাদের নাম মেনশন করলাম, আপনারা এ বিষয়ে পরামর্শ দিন, জানাবেন কি করা উচিত? অভিনেত্রী শেষে বলেন, এই লোকের বিরুদ্ধে আমি অ্যাকশন নিতে চাই। সে যেন সাংবাদিকতা তো দূরের কথা, কোনো শুটিং স্পট, কোনো অনুষ্ঠান কিংবা মিডিয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আশপাশে যেন না আসতে পারে। তাকে বয়কট করা হোক।
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি-
    হাসিনা গেছে যে পথে, পুনর্বাসনকারীরাও যাবে সে পথে

    গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনদিন পর নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকার গঠনের পর ১২ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফেরা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচিত হন সাখাওয়াত হোসেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।



    এদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে মত দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি।

    সম্প্রতি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানও এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগকে বার বার ফ্যাসিস্ট না বলার পরামর্শ দেন।

    এরপর থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে সহায়তাকারী হিসেবে রাজনৈতিক নেতাদের ইঙ্গিত করে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বিদায় করা হয়েছে, সেভাবেই পুনর্বাসনকারীদেরও বিদায় করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।


    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক ৯ দফার ঘোষক ও সমম্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, হাসিনা গেছে যে পথে, হাসিনার পুনর্বাসনকারীরাও যাবে সে পথে। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন কাদের।

    সমন্বয়ক কাদের আরও বলেন, ‘এতো এতো রক্ত আর মায়ের বুক খালি হওয়ার পরও যারা খুনিদেরকে পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের পরিণতিও একই হবে। এই প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এই সুশীলদের, চক্রান্তকারীদেরও ছুড়ে ফেলে দেবে। ’

    সালফ খান নামের একজন ওই স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে লিখেছেন ‘এই সরকারের আমলে সঠিক বিচার হলে হাসিনার পুনর্বাসন অসম্ভব হবে। কেননা আমরা জানি জুলাই-আগস্টে হাসিনার নির্দেশে কি তাণ্ডবলীলা চালানো হইছে। ’

    জাবেদ আলম লেখেন, ‘বিপ্লবের সঙ্গে বেইমানী কোনোভাবেই মানা হবে না ইনশাআল্লাহ’। মুহিবুল্লাহ সেফাত লেখেন, ‘ভাই ৭২ এর সংবিধান বাতিল করেন। লীগ নিষিদ্ধ করেন। ’

    এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘ছেলেদের রক্তের ওপর পা রেখে দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জনগণের মুক্তির নিয়তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামী পুনর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগ নেবে, তাদেরকে ইতিহাস গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে যারা ধারণ করে, যারা গণমানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চায়, তারা ২৪–পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করার দাবি ছাড়া আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আর কোনো দ্বিতীয় বক্তব্য দিতে পারে না।’

    এর আগে সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের বক্তৃতায় সেটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৪৫ সালে জার্মানির ফ্যাসিস্ট নাৎসি পার্টিকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় এবং এখনো তারা নিষিদ্ধ রয়েছে; সেখান থেকেই বোঝা উচিত আওয়ামী লীগের পরিণতি কী হওয়া উচিত।’
    সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি- হাসিনা গেছে যে পথে, পুনর্বাসনকারীরাও যাবে সে পথে গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনদিন পর নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকার গঠনের পর ১২ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফেরা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচিত হন সাখাওয়াত হোসেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে মত দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি। সম্প্রতি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানও এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগকে বার বার ফ্যাসিস্ট না বলার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে সহায়তাকারী হিসেবে রাজনৈতিক নেতাদের ইঙ্গিত করে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বিদায় করা হয়েছে, সেভাবেই পুনর্বাসনকারীদেরও বিদায় করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক ৯ দফার ঘোষক ও সমম্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, হাসিনা গেছে যে পথে, হাসিনার পুনর্বাসনকারীরাও যাবে সে পথে। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন কাদের। সমন্বয়ক কাদের আরও বলেন, ‘এতো এতো রক্ত আর মায়ের বুক খালি হওয়ার পরও যারা খুনিদেরকে পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের পরিণতিও একই হবে। এই প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এই সুশীলদের, চক্রান্তকারীদেরও ছুড়ে ফেলে দেবে। ’ সালফ খান নামের একজন ওই স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে লিখেছেন ‘এই সরকারের আমলে সঠিক বিচার হলে হাসিনার পুনর্বাসন অসম্ভব হবে। কেননা আমরা জানি জুলাই-আগস্টে হাসিনার নির্দেশে কি তাণ্ডবলীলা চালানো হইছে। ’ জাবেদ আলম লেখেন, ‘বিপ্লবের সঙ্গে বেইমানী কোনোভাবেই মানা হবে না ইনশাআল্লাহ’। মুহিবুল্লাহ সেফাত লেখেন, ‘ভাই ৭২ এর সংবিধান বাতিল করেন। লীগ নিষিদ্ধ করেন। ’ এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘ছেলেদের রক্তের ওপর পা রেখে দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জনগণের মুক্তির নিয়তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামী পুনর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগ নেবে, তাদেরকে ইতিহাস গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে যারা ধারণ করে, যারা গণমানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চায়, তারা ২৪–পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করার দাবি ছাড়া আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আর কোনো দ্বিতীয় বক্তব্য দিতে পারে না।’ এর আগে সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের বক্তৃতায় সেটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৪৫ সালে জার্মানির ফ্যাসিস্ট নাৎসি পার্টিকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় এবং এখনো তারা নিষিদ্ধ রয়েছে; সেখান থেকেই বোঝা উচিত আওয়ামী লীগের পরিণতি কী হওয়া উচিত।’
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • #Court, #Suit সুযোগ পেলে হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়বেন জেড আই খান পান্না


    সরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্নার (জেড আই খান পান্না) বলেছেন, ‘আমি সবসময় আছি নিপীড়িতের পক্ষে। সে যেই হোক না কেন। যদি সুযোগ হয় আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াই করব, সেটা ট্রাইব্যুনাল হোক আর অন্য যেকোনো জায়গায় হোক।’


    বৃহস্পতিবার সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরীর পক্ষে আইনি লড়াই শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    জেড আই খান পান্না বলেন, আগে ছিল গণ-গ্রেফতার, এখন হচ্ছে গণ-মামলা। তো গণ-মামলা হলে পরে গণ-গ্রেফতারও হবে। এটার ভিকটিম একসময় আমিও ছিলাম। তবে অকল্পনীয়ভাবে গণ-মামলা চলছে। এমন এর আগে কখনো হয়নি। একই স্ক্রিপ্ট- চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, না হয় পা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা গুলি লাগছে একটা- কিন্তু এ জন্যে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

    নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনুস বোধ হয় উপলব্ধি করছেন যে, সংশোধন-টংশোধণ করা তার ঠিক হবে না। গতকাল তার একটি বক্তব্য দেখলাম তিনি বলছেন, রাজনৈতিক দল যদি সংস্কার না চায় তবে নির্বাচন দিয়ে আমি চলে যাব। আক্ষেপ বা অভিমান যে সুরেই তিনি এ কথা বলুক না কেন, এটাই সত্যি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক এবং একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ সরকারের দায়িত্ব নয় সংস্কার করা, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার দায় রয়েছে।
    #Court, #Suit সুযোগ পেলে হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়বেন জেড আই খান পান্না সরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্নার (জেড আই খান পান্না) বলেছেন, ‘আমি সবসময় আছি নিপীড়িতের পক্ষে। সে যেই হোক না কেন। যদি সুযোগ হয় আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াই করব, সেটা ট্রাইব্যুনাল হোক আর অন্য যেকোনো জায়গায় হোক।’ বৃহস্পতিবার সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরীর পক্ষে আইনি লড়াই শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। জেড আই খান পান্না বলেন, আগে ছিল গণ-গ্রেফতার, এখন হচ্ছে গণ-মামলা। তো গণ-মামলা হলে পরে গণ-গ্রেফতারও হবে। এটার ভিকটিম একসময় আমিও ছিলাম। তবে অকল্পনীয়ভাবে গণ-মামলা চলছে। এমন এর আগে কখনো হয়নি। একই স্ক্রিপ্ট- চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, না হয় পা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা গুলি লাগছে একটা- কিন্তু এ জন্যে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনুস বোধ হয় উপলব্ধি করছেন যে, সংশোধন-টংশোধণ করা তার ঠিক হবে না। গতকাল তার একটি বক্তব্য দেখলাম তিনি বলছেন, রাজনৈতিক দল যদি সংস্কার না চায় তবে নির্বাচন দিয়ে আমি চলে যাব। আক্ষেপ বা অভিমান যে সুরেই তিনি এ কথা বলুক না কেন, এটাই সত্যি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক এবং একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ সরকারের দায়িত্ব নয় সংস্কার করা, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার দায় রয়েছে।
    0 Comments 0 Shares 25 Views 0 Reviews
  • #CityCollege, #DhakaCollege সিটি কলেজ সরিয়ে দেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের





    রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বরে অবস্থিত ঢাকা সিটি কলেজকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার সন্ধ্যা ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।



    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াসসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে ৯ দফা দাবি পেশ করে ঢাকা কলেজ। এ দাবিগুলো হলো-

    ১. দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষকরাও আহত হয়েছেন।

    ২. আমাদের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    ৩. বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

    ৪. ইতোপূর্বে সব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সিটি কলেজ কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে।

    ৫. সিটি কলেজের যেসব শিক্ষকরা এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে এবং জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

    ৬. এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে।

    ৭. এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

    ৮. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন- তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ এবং পুলিশ জড়িত ছিল।

    ৯. ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সব দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে ঢাকা কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

    উল্লেখ্য, দুপুর ৩টার পর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করলে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানায়। এ নিয়ে পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে।

    দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের ফলে সায়েন্সল্যাব, মিরপুর সড়ক ও ধানমন্ডি ১ ও ২ নম্বরে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তাদের ধাওয়ায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা।
    #CityCollege, #DhakaCollege সিটি কলেজ সরিয়ে দেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বরে অবস্থিত ঢাকা সিটি কলেজকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার সন্ধ্যা ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াসসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ৯ দফা দাবি পেশ করে ঢাকা কলেজ। এ দাবিগুলো হলো- ১. দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষকরাও আহত হয়েছেন। ২. আমাদের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩. বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। ৪. ইতোপূর্বে সব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সিটি কলেজ কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে। ৫. সিটি কলেজের যেসব শিক্ষকরা এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে এবং জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ৬. এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে। ৭. এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ৮. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন- তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ এবং পুলিশ জড়িত ছিল। ৯. ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সব দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে ঢাকা কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, দুপুর ৩টার পর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করলে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানায়। এ নিয়ে পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের ফলে সায়েন্সল্যাব, মিরপুর সড়ক ও ধানমন্ডি ১ ও ২ নম্বরে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তাদের ধাওয়ায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা।
    0 Comments 0 Shares 39 Views 0 Reviews
  • #Cantonment সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত




    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। এর আগে গত শনিবার, ১৬ নভেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছিল।

    এতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তাগুলো (শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে স্টাফ রোড পর্যন্ত প্রধান সড়ক) যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে সেনানিবাসে অবস্থানকারী ব্যক্তি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের বহনকারী যানবাহন ব্যতীত সব প্রকার যানবাহন সকাল ৭ থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সেনানিবাস এলাকা দিয়ে চলাচল পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


    ছবি: সংগৃহীত

    #Cantonment সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। এর আগে গত শনিবার, ১৬ নভেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তাগুলো (শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে স্টাফ রোড পর্যন্ত প্রধান সড়ক) যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে সেনানিবাসে অবস্থানকারী ব্যক্তি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের বহনকারী যানবাহন ব্যতীত সব প্রকার যানবাহন সকাল ৭ থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সেনানিবাস এলাকা দিয়ে চলাচল পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
    0 Comments 0 Shares 39 Views 0 Reviews
  • Headache
    **** মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিরোধের উপায়:   ====মাথাব্যথা দুই ধরনের- প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি হেডেক। মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি হলো প্রাইমারি হেডেক। আর সেকেন্ডারি হেডেক হচ্ছে সাইনোসাইটিস, মাসটয়ডাইটিস, গ্লুুকোমা, স্ট্রোক, মাথায় আঘাত পাওয়া, মস্তিষ্কের টিউমার ইত্যাদি।   >>>>মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায় : প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটি হতে...
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • দেশে আসছে ‘বহুরূপী’, যাচ্ছে ‘দামাল’





    নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সিনেমা ‘বহুরূপী’। গেল দুর্গাপূজায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গে। এবার এটি আসছে বাংলাদেশে। আর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। এর বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে রায়হান রাফীর ‘দামাল’। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিনেমা দুটির বিনিময়ের ক্ষেত্র এখনও চূড়ান্ত হয়নি।



    বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক-পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘বহুরূপি সিনেমাটি আনার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। কিন্তু মন্ত্রণালয় এখনও অনুমতি দেয়নি। সামনে মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে, আমরা আশাবাদী; এখন দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত হয়।’

    এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানান, সাফটা চুক্তি আওতায় ভারতের যে দুটি সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তার মধ্যে আছে- ‘পুষ্পা ২’ ও ‘বহুরূপী’।

    নির্মাতার কথায়, ‘বহুরূপীর সঙ্গে আদান-প্রদানে ওপার বাংলার (বাংলাদেশ) যে ছবিটি এ দেশে (ভারত) দেখানো হবে, সেটা হলো “দামাল”। এটা রায়হান রাফীর ছবি, যিনি কিনা “তুফান”র মতো ছবির পরিচালক। ছবির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। সাগর ভাই ও চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, আমাদের ছবির সাফল্যের প্রথম স্মারক সাগর ভাই-ই আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। আমরা খুবই উদগ্রীব হয়ে আছি যে “বহুরূপী” কবে ওপার বাংলায় দেখানো হবে। ওপারের বহু মানুষও এই ছবি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।’

    শিবপ্রসাদ আরও বলেন, ‘বহুরূপীর যে প্রথা, আর্ট ফর্ম, সেই সংস্কৃতি ওপার বাংলার মানুষেরও জানা উচিত। এই একই প্রথা পরিমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে দুই বাংলা বড় হয়েছে, সেটা বাংলার মানুষের জানা উচিত। তবে এর মাঝেও একটা দুঃখের জায়গা আছে যে, লালফিতের গেরোয় আমরা একটু আটকে, অপেক্ষা করছি কবে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সিলমোহর পাব? কবে মুক্তির দিন মুক্তির দিন নির্দিষ্ট হবে। বাকি সবকিছুই হয়ে গিয়েছে, শুধু ফাইনাল অনুমতির অপেক্ষায়। আশা করছি, এই গেরো কেটে যাবে।’

    দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা-২’ সিনেমাটি আমদানির কথা জানিয়েছিল ঢাকার অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। তবে এ নিয়েও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে।

    প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার অনন্য মামুন জানান, শাকিব খানের ‘দরদ’ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ‘পুষ্পা-২’ আপাতত আমদানি করছে না তার প্রতিষ্ঠান।

    উল্লেখ্য, উইনডোজ প্রোডাকশনের ব্যানারে ‘বহুরূপী’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে এক দুর্ধর্ষ ব্যাংক ডাকাতির গল্প নিয়ে। এতে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তীসহ অনেকে।

    অন্যদিকে, রায়হান রাফীর ‘দামাল’ তৈরি হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের বিভিন্ন ঘটনা অবলম্বনে। আর এতে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, শাহনাজ সুমি, সুমিত, রাশেদ অপু, ইন্তেখাব দিনার, পূজা, সামিয়া অথৈসহ অনেকে।
    দেশে আসছে ‘বহুরূপী’, যাচ্ছে ‘দামাল’ নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সিনেমা ‘বহুরূপী’। গেল দুর্গাপূজায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গে। এবার এটি আসছে বাংলাদেশে। আর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। এর বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে রায়হান রাফীর ‘দামাল’। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিনেমা দুটির বিনিময়ের ক্ষেত্র এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক-পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘বহুরূপি সিনেমাটি আনার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। কিন্তু মন্ত্রণালয় এখনও অনুমতি দেয়নি। সামনে মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে, আমরা আশাবাদী; এখন দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত হয়।’ এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানান, সাফটা চুক্তি আওতায় ভারতের যে দুটি সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তার মধ্যে আছে- ‘পুষ্পা ২’ ও ‘বহুরূপী’। নির্মাতার কথায়, ‘বহুরূপীর সঙ্গে আদান-প্রদানে ওপার বাংলার (বাংলাদেশ) যে ছবিটি এ দেশে (ভারত) দেখানো হবে, সেটা হলো “দামাল”। এটা রায়হান রাফীর ছবি, যিনি কিনা “তুফান”র মতো ছবির পরিচালক। ছবির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। সাগর ভাই ও চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, আমাদের ছবির সাফল্যের প্রথম স্মারক সাগর ভাই-ই আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। আমরা খুবই উদগ্রীব হয়ে আছি যে “বহুরূপী” কবে ওপার বাংলায় দেখানো হবে। ওপারের বহু মানুষও এই ছবি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।’ শিবপ্রসাদ আরও বলেন, ‘বহুরূপীর যে প্রথা, আর্ট ফর্ম, সেই সংস্কৃতি ওপার বাংলার মানুষেরও জানা উচিত। এই একই প্রথা পরিমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে দুই বাংলা বড় হয়েছে, সেটা বাংলার মানুষের জানা উচিত। তবে এর মাঝেও একটা দুঃখের জায়গা আছে যে, লালফিতের গেরোয় আমরা একটু আটকে, অপেক্ষা করছি কবে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সিলমোহর পাব? কবে মুক্তির দিন মুক্তির দিন নির্দিষ্ট হবে। বাকি সবকিছুই হয়ে গিয়েছে, শুধু ফাইনাল অনুমতির অপেক্ষায়। আশা করছি, এই গেরো কেটে যাবে।’ দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা-২’ সিনেমাটি আমদানির কথা জানিয়েছিল ঢাকার অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। তবে এ নিয়েও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার অনন্য মামুন জানান, শাকিব খানের ‘দরদ’ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ‘পুষ্পা-২’ আপাতত আমদানি করছে না তার প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, উইনডোজ প্রোডাকশনের ব্যানারে ‘বহুরূপী’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে এক দুর্ধর্ষ ব্যাংক ডাকাতির গল্প নিয়ে। এতে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তীসহ অনেকে। অন্যদিকে, রায়হান রাফীর ‘দামাল’ তৈরি হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের বিভিন্ন ঘটনা অবলম্বনে। আর এতে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, শাহনাজ সুমি, সুমিত, রাশেদ অপু, ইন্তেখাব দিনার, পূজা, সামিয়া অথৈসহ অনেকে।
    0 Comments 0 Shares 39 Views 0 Reviews
  • #HistoricalDay ইতিহাসের এই দিনে, ‘ঐতিহাসিক বার্লিন আদেশ জারি করা হয়’




    আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। আর এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই আয়োজন ‘ইতিহাসে এই দিনে’।



    আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

    ইতিহাসের পাতায় ২১ নভেম্বরের ঘটনাবলি:

    ১৭৮৩ - মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে উড্ডয়ন করে।

    ১৮০৬ - ঐতিহাসিক বার্লিন আদেশ জারি করা হয়।

    ১৮৭৭ – থমাস এডিসন গ্রামোফোন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।

    ১৯০৮ - বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

    ১৯১৮ - জার্মান সামরিক নৌবহর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে।

    ১৯৪৫ - ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দিদের মুক্তির দাবিতে কলকাতায় ছাত্র-শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে ছাত্রকর্মী রামেশ্বর ও আবদুল সালাম নিহত হন।

    ১৯৭৯ - উগ্রপন্থিরা মক্কার কাবা মসজিদ দখল করে নেয়।

    ১৯৯৪ - নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ওলে সোয়েঙ্কা নাইজেরিয়া ত্যাগ করেন।

    ২০০২ - ন্যাটো সদস্য হওয়ার জন্য বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়।

    আজ যাদের জন্মতারিখ:

    ১৬৯৪ - ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার।

    ১৮১৮ - মার্কিন নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গান।

    ১৯২১ - অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেটার বেটি উইলসন।

    ১৯৬৬ - জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুল।

    আজ যাদের মৃত্যু হয়:

    ১৯৭৪ - শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তী।

    ১৯৭০ - নোবেলজয়ী ভারতীয় পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর রমাণ

    ১৯৯৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানি তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুস সালাম।

    দিবস:

    সশস্ত্র বাহিনী দিবস।

    বিশ্ব টেলিভিশন দিবস।
    #HistoricalDay ইতিহাসের এই দিনে, ‘ঐতিহাসিক বার্লিন আদেশ জারি করা হয়’ আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। আর এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই আয়োজন ‘ইতিহাসে এই দিনে’। আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ইতিহাসের পাতায় ২১ নভেম্বরের ঘটনাবলি: ১৭৮৩ - মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে উড্ডয়ন করে। ১৮০৬ - ঐতিহাসিক বার্লিন আদেশ জারি করা হয়। ১৮৭৭ – থমাস এডিসন গ্রামোফোন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। ১৯০৮ - বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ১৯১৮ - জার্মান সামরিক নৌবহর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৪৫ - ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দিদের মুক্তির দাবিতে কলকাতায় ছাত্র-শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে ছাত্রকর্মী রামেশ্বর ও আবদুল সালাম নিহত হন। ১৯৭৯ - উগ্রপন্থিরা মক্কার কাবা মসজিদ দখল করে নেয়। ১৯৯৪ - নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ওলে সোয়েঙ্কা নাইজেরিয়া ত্যাগ করেন। ২০০২ - ন্যাটো সদস্য হওয়ার জন্য বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়। আজ যাদের জন্মতারিখ: ১৬৯৪ - ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার। ১৮১৮ - মার্কিন নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গান। ১৯২১ - অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেটার বেটি উইলসন। ১৯৬৬ - জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুল। আজ যাদের মৃত্যু হয়: ১৯৭৪ - শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তী। ১৯৭০ - নোবেলজয়ী ভারতীয় পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর রমাণ ১৯৯৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানি তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুস সালাম। দিবস: সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বিশ্ব টেলিভিশন দিবস।
    0 Comments 0 Shares 39 Views 0 Reviews
  • বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ



    রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আপনি হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনার পছন্দের কোন মার্কেটে যাবেন আজ। কিন্তু সেই মার্কেট খোলা আছে কিনা তা হয়তো জানেন না। তাই আগে জেনে নিন ঢাকার কোন মার্কেট আজ বন্ধ এবং খোলা রয়েছে। না হলে কষ্ট করে গিয়ে ফিরে আসতে হতে পারে।



    মনে রাখতে হবে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট, মার্কেট সাধারণত বন্ধ থাকে।

    বন্ধ থাকবে যেসব দোকানপাট:

    মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।

    বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট:

    মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার করপোরেট মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
    বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আপনি হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনার পছন্দের কোন মার্কেটে যাবেন আজ। কিন্তু সেই মার্কেট খোলা আছে কিনা তা হয়তো জানেন না। তাই আগে জেনে নিন ঢাকার কোন মার্কেট আজ বন্ধ এবং খোলা রয়েছে। না হলে কষ্ট করে গিয়ে ফিরে আসতে হতে পারে। মনে রাখতে হবে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট, মার্কেট সাধারণত বন্ধ থাকে। বন্ধ থাকবে যেসব দোকানপাট: মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট: মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার করপোরেট মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • #TravelPass সেন্টমার্টিন যেতে পর্যটকদের লাগবে ট্রাভেল পাস




    সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করেছে সরকার। একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু দিকনির্দেশনা। এসব বিষয়ে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ জারি হয়েছে।



    ছয় সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অথবা ট্যুরিজম বোর্ডের কক্সবাজারের প্রতিনিধি, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কক্সবাজারের প্রতিনিধি, কোস্টগার্ডের কক্সবাজারের প্রতিনিধি, টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।

    চিঠিতে কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে।

    পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে। জাহাজ ছাড়ার স্থানে (পয়েন্টে) ও সেন্টমার্টিনের প্রবেশের স্থানে (এন্ট্রি পয়েন্ট) পর্যটকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে। কাজের সুবিধার্থে কমিটি প্রয়োজনে সদস্য বাড়াতে পারবে।

    সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গবেষণায় বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে দ্বীপটি রক্ষায় পর্যটন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।’

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন রক্ষায় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকা উচিত।’

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা দ্বীপটি বাঁচাতে চাই। এটি দেশের সবার সম্পদ। পর্যটকরা দায়িত্বশীল আচরণ করলে দেশের এই সম্পদ রক্ষা পাবে।’
    #TravelPass সেন্টমার্টিন যেতে পর্যটকদের লাগবে ট্রাভেল পাস সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করেছে সরকার। একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু দিকনির্দেশনা। এসব বিষয়ে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ জারি হয়েছে। ছয় সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অথবা ট্যুরিজম বোর্ডের কক্সবাজারের প্রতিনিধি, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কক্সবাজারের প্রতিনিধি, কোস্টগার্ডের কক্সবাজারের প্রতিনিধি, টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। চিঠিতে কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে। জাহাজ ছাড়ার স্থানে (পয়েন্টে) ও সেন্টমার্টিনের প্রবেশের স্থানে (এন্ট্রি পয়েন্ট) পর্যটকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে। কাজের সুবিধার্থে কমিটি প্রয়োজনে সদস্য বাড়াতে পারবে। সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গবেষণায় বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে দ্বীপটি রক্ষায় পর্যটন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।’ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন রক্ষায় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকা উচিত।’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা দ্বীপটি বাঁচাতে চাই। এটি দেশের সবার সম্পদ। পর্যটকরা দায়িত্বশীল আচরণ করলে দেশের এই সম্পদ রক্ষা পাবে।’
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে থাকছে না রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান




    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেত সুপারিশ করার বিধান থাকছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।



    আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করা হয়েছিল, এটা গৃহীত হয়েছে। তবে উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে, আমরা যে সংশোধনী করেছিলাম সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। আমাদের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, কোনো সংগঠনকে যদি শাস্তি দেওয়া দরকার মনে করলে তাহলে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।’

    তিনি বলেন, ‘আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলা হয়েছে, আমরা এ বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম ডিসেন্ট ওয়েতে, ফেয়ার ওয়েতে বিচারটা করতে চাই। এ জন্য এ প্রবিশনটা বাতিল করা হয়েছে।’

    আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অনুভব করেছি, কোনো রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনো সংগঠন তাদের অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধের করার প্রয়োজন হয় বা দাবি ওঠে সমাজে, তাহলে আমাদের অন্যান্য আইন রয়েছে, সে সব আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। সন্ত্রাস দমন আইন রয়েছে, নির্বাচনী আইনে রয়েছে, কাজেই এখানে এ বিধান নেই দেখে আমাদের সেই সুযোগ আর থাকল না, সেটা না। যুদ্ধাপরাধ বিচার আইনে থাকল না, তবে অন্যান্য আইনে রয়েছে। সেটা আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে, জনদাবি এলে পরে বিবেচনা করা হবে।’

    গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়।’

    ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।


    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে থাকছে না রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেত সুপারিশ করার বিধান থাকছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করা হয়েছিল, এটা গৃহীত হয়েছে। তবে উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে, আমরা যে সংশোধনী করেছিলাম সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। আমাদের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, কোনো সংগঠনকে যদি শাস্তি দেওয়া দরকার মনে করলে তাহলে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।’ তিনি বলেন, ‘আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলা হয়েছে, আমরা এ বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম ডিসেন্ট ওয়েতে, ফেয়ার ওয়েতে বিচারটা করতে চাই। এ জন্য এ প্রবিশনটা বাতিল করা হয়েছে।’ আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অনুভব করেছি, কোনো রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনো সংগঠন তাদের অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধের করার প্রয়োজন হয় বা দাবি ওঠে সমাজে, তাহলে আমাদের অন্যান্য আইন রয়েছে, সে সব আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। সন্ত্রাস দমন আইন রয়েছে, নির্বাচনী আইনে রয়েছে, কাজেই এখানে এ বিধান নেই দেখে আমাদের সেই সুযোগ আর থাকল না, সেটা না। যুদ্ধাপরাধ বিচার আইনে থাকল না, তবে অন্যান্য আইনে রয়েছে। সেটা আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে, জনদাবি এলে পরে বিবেচনা করা হবে।’ গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়।’ ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • #Gas দেশে গ্যাস উৎপাদন কমছে



    দেশে এখন গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। যদিও সরকারিভাবে বলা হয় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। তবে কমবেশি গড় সরবরাহ বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মধ্যে। এদিকে শত শত শিল্প-কারখানা গ্যাসের সংযোগের অপেক্ষায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতেও গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। তারা গ্যাসের লোড বৃদ্ধির অপেক্ষায় বছরের পর বছর ঘুরছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর অফিসে অফিসে। ফলে কার্যত গ্যাস সংকটের কারণে সবই চলছে ধীরগতিতে। এ যখন অবস্থা তখন দিন দিন কমছে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের জোগান।



    পরিস্থিতি উত্তরণে খুব বেশি আশা তৈরি হচ্ছে না দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে। গ্যাসের চাহিদা পূরণে নির্ভর করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজির ওপর। তবে সেখানেও রয়েছে প্রচণ্ড সংকট। কারণ বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ডলারের সম্পর্ক রয়েছে, যে সংকট এখনও কাটেনি। সব মিলিয়ে শিল্প-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে দেশের জ্বালানির জোগান বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে।

    পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাপেক্সের আওতাধীন গ্যাস কূপগুলো থেকে প্রতিদিন ১১৭ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের কূপগুলো থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে ৫৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলো থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১৩০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অক্টোবর পর্যন্ত সব গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গড়ে দৈনিক উত্তোলন করা হয়েছে ১০৩৯ এমএমসিএফডি ঘনফুট। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি সময়টাতে দৈনিক গড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বা উত্তোলিত হবে মাত্র ৭১৭ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এসব উৎস ছাড়াও যেসব বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের অন্যান্য কূপগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করে সেগুলো এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।

    এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কে বলেন, বিগত এক দশক ধরেই গ্যাসের সংকট চলছে। নানা চেষ্টা করার পরও আসলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, একটা বিষয় লক্ষ করলে দেখবেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশীয় গ্যাসের উৎস বা জোগানের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে এলএনজি টার্মিনাল বা এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকেছিল। তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। যদি ভবিষতে বড় কোনো ক্ষেত্র পাওয়া যায় সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু তা না পেলেও তো দেশের শিল্প-কারখানার অগ্রগতি বা অর্থনৈতিক গতি ঠিক রাখতে অবশ্যই গ্যাসের জোগান বা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

    ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থির না হওয়ায় এ সেক্টরে সংকট আরও প্রকট হতে যাচ্ছে। কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরাই সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে জ্বালানির জোগান বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের জোগান ঠিক রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

    অন্যদিকে, দেশে গ্যাস সংকট বেড়েই চলছে। দৈনিক গ্যাসের ঘাটতি প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসস্বল্পতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে শিল্প খাত। চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে শিল্প-কারখানা। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

    গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে কারখানার উৎপাদন। অনেক কারখানা হুমকিতে, আবার কোনোটি বন্ধের পথে। বাধ্য হয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করছেন মালিকরা। উৎপাদন কম হওয়ায় কমছে পণ্য রপ্তানি, বিদেশ থেকে বাড়ছে কাঁচামাল আমদানি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়ছে। গ্যাস সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে অর্থনীতিতে অশনিসংকেত দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এদিকে গ্যাস সংকটের বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, গত আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস অনুসন্ধানের চেয়ে আমদানির দিকেই বেশি নজর দিয়েছিল। তাই সংকট বেশি ঘনীভূত হয়েছে। গ্যাস সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। তিনি বলেন, দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করে উদ্বৃত্ত গ্যাস শিল্প খাতে সরবরাহ করা সম্ভব। এতে সংকটের একটা সুরাহা হবে। কারণ দেশের রিজার্ভের যা অবস্থা, এতে এলএনজির ওপর বেশি নির্ভর করা যাবে না।


    প্রতীকী ছবি
    #Gas দেশে গ্যাস উৎপাদন কমছে দেশে এখন গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। যদিও সরকারিভাবে বলা হয় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। তবে কমবেশি গড় সরবরাহ বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মধ্যে। এদিকে শত শত শিল্প-কারখানা গ্যাসের সংযোগের অপেক্ষায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতেও গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। তারা গ্যাসের লোড বৃদ্ধির অপেক্ষায় বছরের পর বছর ঘুরছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর অফিসে অফিসে। ফলে কার্যত গ্যাস সংকটের কারণে সবই চলছে ধীরগতিতে। এ যখন অবস্থা তখন দিন দিন কমছে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের জোগান। পরিস্থিতি উত্তরণে খুব বেশি আশা তৈরি হচ্ছে না দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে। গ্যাসের চাহিদা পূরণে নির্ভর করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজির ওপর। তবে সেখানেও রয়েছে প্রচণ্ড সংকট। কারণ বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ডলারের সম্পর্ক রয়েছে, যে সংকট এখনও কাটেনি। সব মিলিয়ে শিল্প-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে দেশের জ্বালানির জোগান বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাপেক্সের আওতাধীন গ্যাস কূপগুলো থেকে প্রতিদিন ১১৭ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের কূপগুলো থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে ৫৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলো থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১৩০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অক্টোবর পর্যন্ত সব গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গড়ে দৈনিক উত্তোলন করা হয়েছে ১০৩৯ এমএমসিএফডি ঘনফুট। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি সময়টাতে দৈনিক গড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বা উত্তোলিত হবে মাত্র ৭১৭ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এসব উৎস ছাড়াও যেসব বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের অন্যান্য কূপগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করে সেগুলো এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কে বলেন, বিগত এক দশক ধরেই গ্যাসের সংকট চলছে। নানা চেষ্টা করার পরও আসলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, একটা বিষয় লক্ষ করলে দেখবেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশীয় গ্যাসের উৎস বা জোগানের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে এলএনজি টার্মিনাল বা এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকেছিল। তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। যদি ভবিষতে বড় কোনো ক্ষেত্র পাওয়া যায় সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু তা না পেলেও তো দেশের শিল্প-কারখানার অগ্রগতি বা অর্থনৈতিক গতি ঠিক রাখতে অবশ্যই গ্যাসের জোগান বা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থির না হওয়ায় এ সেক্টরে সংকট আরও প্রকট হতে যাচ্ছে। কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরাই সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে জ্বালানির জোগান বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের জোগান ঠিক রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, দেশে গ্যাস সংকট বেড়েই চলছে। দৈনিক গ্যাসের ঘাটতি প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসস্বল্পতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে শিল্প খাত। চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে শিল্প-কারখানা। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে কারখানার উৎপাদন। অনেক কারখানা হুমকিতে, আবার কোনোটি বন্ধের পথে। বাধ্য হয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করছেন মালিকরা। উৎপাদন কম হওয়ায় কমছে পণ্য রপ্তানি, বিদেশ থেকে বাড়ছে কাঁচামাল আমদানি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়ছে। গ্যাস সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে অর্থনীতিতে অশনিসংকেত দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে গ্যাস সংকটের বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, গত আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস অনুসন্ধানের চেয়ে আমদানির দিকেই বেশি নজর দিয়েছিল। তাই সংকট বেশি ঘনীভূত হয়েছে। গ্যাস সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। তিনি বলেন, দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করে উদ্বৃত্ত গ্যাস শিল্প খাতে সরবরাহ করা সম্ভব। এতে সংকটের একটা সুরাহা হবে। কারণ দেশের রিজার্ভের যা অবস্থা, এতে এলএনজির ওপর বেশি নির্ভর করা যাবে না। প্রতীকী ছবি
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • চবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১ মার্চ


    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ মার্চ এবং শেষ হবে ২২ মার্চ। চট্টগ্রামের বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চবি ক্যাম্পাসে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি।

    বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চবি’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এবার বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা পহেলা মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে। এবার সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবছর সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কর্তন করা হয়েছিলো তবে, এবার আমরা তা কমিয়ে তিন করেছি।

    এছাড়া বি-২ নামে নতুন একটি উপ-ইউনিট করা হয়েছে। এখান আছে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও আরবি সাহিত্য। অনেক সময় দেখা যায় এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আরবি পড়তেই জানেননা। এজন্য তাদের কথা বিবেচনা করে এ নতুন ইউনিট করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু রমজানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই আমরা সময়টা পরিবর্তন করেছি। এখন শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন দুপুর ১২টায় তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে এবং দুপুর ১টায় তাদের পরীক্ষা শেষ হবে। আমরা এবার সুন্দরভাবে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
    চবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ মার্চ এবং শেষ হবে ২২ মার্চ। চট্টগ্রামের বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চবি ক্যাম্পাসে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চবি’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এবার বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা পহেলা মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে। এবার সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবছর সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কর্তন করা হয়েছিলো তবে, এবার আমরা তা কমিয়ে তিন করেছি। এছাড়া বি-২ নামে নতুন একটি উপ-ইউনিট করা হয়েছে। এখান আছে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও আরবি সাহিত্য। অনেক সময় দেখা যায় এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আরবি পড়তেই জানেননা। এজন্য তাদের কথা বিবেচনা করে এ নতুন ইউনিট করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু রমজানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই আমরা সময়টা পরিবর্তন করেছি। এখন শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন দুপুর ১২টায় তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে এবং দুপুর ১টায় তাদের পরীক্ষা শেষ হবে। আমরা এবার সুন্দরভাবে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • #Arctic প্রায় অন্ধকারেও আর্কটিক সাগরে প্রাণের সম্ভাবনা



    অন্ধকারে বেশি সময় কাটানো উদ্ভিদ সাধারণত হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায়। তবে বিজ্ঞানীরা আর্কটিক মহাসাগরের প্রায় ৫০ মিটার গভীরে এমন ক্ষুদ্র মাইক্রোঅ্যালগি আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো প্রায় অন্ধকারেও ফটোসিনথেসিস করতে সক্ষম।

    মাইক্রোঅ্যালগিগুলো আর্কটিক অঞ্চলের ৮৮ ডিগ্রি উত্তরে অবস্থান করছে এবং মার্চ মাসের শেষ দিকে ফটোসিনথেসিস শুরু করে। এটি এমন সময়, যখন শীতকালীন মেরুরাত মাত্রই শেষ হয়েছে। সূর্যের আলো তখনও দিগন্তের ওপরে আসেনি এবং বরফ ও তুষারে আচ্ছাদিত সাগরের মধ্যে খুব সামান্য আলো প্রবেশ করছিল। তবু, এই মাইক্রোঅ্যালগি সামান্য আলোতেই ফটোসিনথেসিস চালিয়ে যেতে পারে।

    বিজ্ঞানীরা এখন এই মাইক্রোঅ্যালগির ফটোসিনথেসিস করার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন। সফল হলে উচ্চ অক্ষাংশের এলাকায় ফসলের বাড়ন্ত সময় বাড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া গ্রিনহাউজ বা উল্লম্ব চাষ পদ্ধতিতে কম কৃত্রিম আলোর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।

    গবেষকরা মনে করছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে মহাকাশযান বা অন্য গ্রহে সীমিত আলোতে ফসল চাষের পথ সুগম করতে পারে। আর্কটিক মাইক্রোঅ্যালগির এই বৈশিষ্ট্য তাই শুধুই বিজ্ঞান নয়, বরং পৃথিবীর বাইরের চাষাবাদের জন্যও হতে পারে এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার।

    #Arctic প্রায় অন্ধকারেও আর্কটিক সাগরে প্রাণের সম্ভাবনা অন্ধকারে বেশি সময় কাটানো উদ্ভিদ সাধারণত হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায়। তবে বিজ্ঞানীরা আর্কটিক মহাসাগরের প্রায় ৫০ মিটার গভীরে এমন ক্ষুদ্র মাইক্রোঅ্যালগি আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো প্রায় অন্ধকারেও ফটোসিনথেসিস করতে সক্ষম। মাইক্রোঅ্যালগিগুলো আর্কটিক অঞ্চলের ৮৮ ডিগ্রি উত্তরে অবস্থান করছে এবং মার্চ মাসের শেষ দিকে ফটোসিনথেসিস শুরু করে। এটি এমন সময়, যখন শীতকালীন মেরুরাত মাত্রই শেষ হয়েছে। সূর্যের আলো তখনও দিগন্তের ওপরে আসেনি এবং বরফ ও তুষারে আচ্ছাদিত সাগরের মধ্যে খুব সামান্য আলো প্রবেশ করছিল। তবু, এই মাইক্রোঅ্যালগি সামান্য আলোতেই ফটোসিনথেসিস চালিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা এখন এই মাইক্রোঅ্যালগির ফটোসিনথেসিস করার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন। সফল হলে উচ্চ অক্ষাংশের এলাকায় ফসলের বাড়ন্ত সময় বাড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া গ্রিনহাউজ বা উল্লম্ব চাষ পদ্ধতিতে কম কৃত্রিম আলোর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে। গবেষকরা মনে করছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে মহাকাশযান বা অন্য গ্রহে সীমিত আলোতে ফসল চাষের পথ সুগম করতে পারে। আর্কটিক মাইক্রোঅ্যালগির এই বৈশিষ্ট্য তাই শুধুই বিজ্ঞান নয়, বরং পৃথিবীর বাইরের চাষাবাদের জন্যও হতে পারে এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার।
    0 Comments 0 Shares 41 Views 0 Reviews
  • #Octopus অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তা কি মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ বিকল্প?



    মানবজাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের আশঙ্কা শুধু কল্পকাহিনির বিষয় নয়; বিজ্ঞানীরাও মনে করছেন পারমাণবিক বোমা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নানা কারণ থেকে একদিন মানবসভ্যতা বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের পৃথিবী যেখানে মানুষের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, সেখানে নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে একটি ব্যতিক্রমী প্রাণীর—অক্টোপাস।

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিম কুলসনের মতে, অক্টোপাস এমন একটি প্রাণী যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হতে পারে। তাদের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, জটিল স্নায়ুতন্ত্র এবং পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত অভিযোজন ক্ষমতা তাদের এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে।

    অক্টোপাসের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র এতটাই জটিল যে, তারা কেবল সমস্যার সমাধান করতেই দক্ষ নয়, বরং পরিবেশ বুঝে নিজের আচরণও বদলে নিতে পারে। এমনকি, বাস্তব ও ভার্চ্যুয়াল বস্তুর মধ্যে পার্থক্য করার সক্ষমতাও রয়েছে তাদের। অক্টোপাসের এই বৈশিষ্ট্য তাদের ভবিষ্যতের পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আদর্শ প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে।

    অধ্যাপক কুলসন বলেন, অক্টোপাস অত্যন্ত কৌতূহলী এবং তাদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তারা দ্রুত শেখে এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। এই কারণেই ভবিষ্যতে পৃথিবীর শাসক হিসেবে অক্টোপাস নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে।

    বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, অক্টোপাস শুধু পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয় না, বরং প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে নতুন নতুন সমাধান খুঁজে নেয়। এ কারণেই, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মানবশূন্য পৃথিবীতে তাদের বিস্তার সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

    এমন ভবিষ্যৎ এখনো কল্পনাতীত হলেও অক্টোপাসের গুণাবলি বিজ্ঞানীদের মনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। যেভাবে কল্পকাহিনিতে বানর বা রোবট পৃথিবীর দখল নেওয়ার গল্প বলা হয়, বাস্তবে তা হতে পারে অক্টোপাসের মাধ্যমে।

    মানুষের অস্তিত্ব যখন নানা সংকটে জর্জরিত, তখন অক্টোপাসের মতো প্রাণীর এমন সম্ভাবনা আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করছে। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে মানবজাতি যদি বিলুপ্ত হয়, তবে অক্টোপাসই হয়তো সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে।
    #Octopus অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তা কি মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ বিকল্প? মানবজাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের আশঙ্কা শুধু কল্পকাহিনির বিষয় নয়; বিজ্ঞানীরাও মনে করছেন পারমাণবিক বোমা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নানা কারণ থেকে একদিন মানবসভ্যতা বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের পৃথিবী যেখানে মানুষের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, সেখানে নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে একটি ব্যতিক্রমী প্রাণীর—অক্টোপাস। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিম কুলসনের মতে, অক্টোপাস এমন একটি প্রাণী যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হতে পারে। তাদের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, জটিল স্নায়ুতন্ত্র এবং পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত অভিযোজন ক্ষমতা তাদের এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে। অক্টোপাসের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র এতটাই জটিল যে, তারা কেবল সমস্যার সমাধান করতেই দক্ষ নয়, বরং পরিবেশ বুঝে নিজের আচরণও বদলে নিতে পারে। এমনকি, বাস্তব ও ভার্চ্যুয়াল বস্তুর মধ্যে পার্থক্য করার সক্ষমতাও রয়েছে তাদের। অক্টোপাসের এই বৈশিষ্ট্য তাদের ভবিষ্যতের পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আদর্শ প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে। অধ্যাপক কুলসন বলেন, অক্টোপাস অত্যন্ত কৌতূহলী এবং তাদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তারা দ্রুত শেখে এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। এই কারণেই ভবিষ্যতে পৃথিবীর শাসক হিসেবে অক্টোপাস নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, অক্টোপাস শুধু পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয় না, বরং প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে নতুন নতুন সমাধান খুঁজে নেয়। এ কারণেই, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মানবশূন্য পৃথিবীতে তাদের বিস্তার সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এমন ভবিষ্যৎ এখনো কল্পনাতীত হলেও অক্টোপাসের গুণাবলি বিজ্ঞানীদের মনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। যেভাবে কল্পকাহিনিতে বানর বা রোবট পৃথিবীর দখল নেওয়ার গল্প বলা হয়, বাস্তবে তা হতে পারে অক্টোপাসের মাধ্যমে। মানুষের অস্তিত্ব যখন নানা সংকটে জর্জরিত, তখন অক্টোপাসের মতো প্রাণীর এমন সম্ভাবনা আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করছে। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে মানবজাতি যদি বিলুপ্ত হয়, তবে অক্টোপাসই হয়তো সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে।
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • ‘ইয়েমেনের সামরিক শক্তি ওয়াশিংটনের কল্পনার বাইরে’



    যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় চেয়ারের মালিক বদলে যেতেই মধ্যপ্রাচ্যেও আসছে পরিবর্তন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টান টান উত্তেজনার মধ্যে, ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন ওই অঞ্চল থেকে পিছু হটছে। কমাচ্ছে সামরিক উপস্থিতি।

    মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা নিজেদের একমাত্র এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নানামুখী হুমকি মোকাবিলায় এখনো ওই ক্যারিয়ারের প্রচুর সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন। এ নিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, গত এক বছরে এই দ্বিতীয়বার পশ্চিম এশিয়া থেকে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী সরে গেল।

    পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখনই ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ওয়াশিংটনের পরাজয়ও অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের আধিপত্য ভেঙে পড়ছে। দাবি করা হচ্ছে, ইয়েমেনের সামরিক শক্তি ওয়াশিংটনের কল্পনার বাইরে।

    আইজেনহাওয়ার, রুজভেল্ট এবং আব্রাহাম লিঙ্কন বিমানবাহী রণতরী পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমেরিকা স্বীকার করেছে, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নত এবং আধুনিক সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। আমেরিকার নৌবাহিনীর জন্য ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী একটি বড় বাধা এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত।

    গত কয়েক মাস ধরে, ইয়েমেনি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণ এবং প্রতিরোধ বাহিনীর সমর্থনে লোহিত সাগর এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে বেশ কয়েকটি ইহুদিবাদী জাহাজ কিংবা ইসরায়েল অভিমুখি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিশেষ করে তেল আবিবে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

    ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী অঙ্গিকার করেছে, যতদিন পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় তাদের আক্রমণ বন্ধ না করবে ততদিন লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এবং ইসরায়েলগামী জাহাজের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে।

    এর আগে, গেল সেপ্টেম্বরে ইয়েমেনি নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছিল, ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পর লোহিত সাগর থেকে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন পালিয়ে গেছে।

    ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়েমেনি নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছিল, ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ইউএস ৭ম ফ্লিট এলাকায় প্রবেশ করেছে।



    ফাইল ছবি
    ‘ইয়েমেনের সামরিক শক্তি ওয়াশিংটনের কল্পনার বাইরে’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় চেয়ারের মালিক বদলে যেতেই মধ্যপ্রাচ্যেও আসছে পরিবর্তন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টান টান উত্তেজনার মধ্যে, ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন ওই অঞ্চল থেকে পিছু হটছে। কমাচ্ছে সামরিক উপস্থিতি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা নিজেদের একমাত্র এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নানামুখী হুমকি মোকাবিলায় এখনো ওই ক্যারিয়ারের প্রচুর সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন। এ নিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, গত এক বছরে এই দ্বিতীয়বার পশ্চিম এশিয়া থেকে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী সরে গেল। পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখনই ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ওয়াশিংটনের পরাজয়ও অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের আধিপত্য ভেঙে পড়ছে। দাবি করা হচ্ছে, ইয়েমেনের সামরিক শক্তি ওয়াশিংটনের কল্পনার বাইরে। আইজেনহাওয়ার, রুজভেল্ট এবং আব্রাহাম লিঙ্কন বিমানবাহী রণতরী পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমেরিকা স্বীকার করেছে, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নত এবং আধুনিক সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। আমেরিকার নৌবাহিনীর জন্য ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী একটি বড় বাধা এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত। গত কয়েক মাস ধরে, ইয়েমেনি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণ এবং প্রতিরোধ বাহিনীর সমর্থনে লোহিত সাগর এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে বেশ কয়েকটি ইহুদিবাদী জাহাজ কিংবা ইসরায়েল অভিমুখি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিশেষ করে তেল আবিবে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী অঙ্গিকার করেছে, যতদিন পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় তাদের আক্রমণ বন্ধ না করবে ততদিন লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এবং ইসরায়েলগামী জাহাজের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে। এর আগে, গেল সেপ্টেম্বরে ইয়েমেনি নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছিল, ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পর লোহিত সাগর থেকে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন পালিয়ে গেছে। ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়েমেনি নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছিল, ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ইউএস ৭ম ফ্লিট এলাকায় প্রবেশ করেছে। ফাইল ছবি
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না ‘পুষ্পা ২’


    দর্শকদের বহুল প্রতিক্ষিত সিনেমা ‘পুষ্পা টু’। এর আগে দক্ষিণ ভারতের আইকন স্টার আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’ সিনেমা ব্লকবাস্টার হয়েছিল। ফলে সিনেমাটির দ্বিতীয় কিস্তি দেখার জন্য মুখিয়েছিলেন দর্শক।

    জানা গেছে, ৫০০ কোটি রুপি বাজেটে তৈরি করা হয়েছে ‘পুষ্পা টু’। মুক্তি না পেতেই এই ছবি প্রযোজনা সংস্থার ঘরে এখনও পর্যন্ত দ্বিগুণ টাকা তুলে ফেলেছে।
    ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ মুক্তি পাবে আগামী ৫ ডিসেম্বর। তিন বছর বিরতির পর আসছে দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আসছেন পরিচালক সুকুমার।

    তবে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না বহুল আলোচিত এই সিনেমা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট কয়েক মাস আগে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে দর্শক দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন।
    তবে এখন অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুন বলছেন, ‘দরদ’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সিনেমাটি আপাতত আমদানি করছে না তার প্রতিষ্ঠান। অন্য কেউ আমদানি করবে বলেও মনে করছেন না তিনি।

    ভারতীয় সিনেমা আমদানি করে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়াও। তবে ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ তারা আনবে না, নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ।
    দুই সপ্তাহ আগে দি অভি কথাচিত্র বাংলাদেশে মুক্তি দিয়েছিল বলিউডের ‘স্ত্রী ২’। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভিও ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ আমদানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন।
    বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না ‘পুষ্পা ২’ দর্শকদের বহুল প্রতিক্ষিত সিনেমা ‘পুষ্পা টু’। এর আগে দক্ষিণ ভারতের আইকন স্টার আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’ সিনেমা ব্লকবাস্টার হয়েছিল। ফলে সিনেমাটির দ্বিতীয় কিস্তি দেখার জন্য মুখিয়েছিলেন দর্শক। জানা গেছে, ৫০০ কোটি রুপি বাজেটে তৈরি করা হয়েছে ‘পুষ্পা টু’। মুক্তি না পেতেই এই ছবি প্রযোজনা সংস্থার ঘরে এখনও পর্যন্ত দ্বিগুণ টাকা তুলে ফেলেছে। ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ মুক্তি পাবে আগামী ৫ ডিসেম্বর। তিন বছর বিরতির পর আসছে দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আসছেন পরিচালক সুকুমার। তবে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না বহুল আলোচিত এই সিনেমা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট কয়েক মাস আগে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে দর্শক দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তবে এখন অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুন বলছেন, ‘দরদ’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সিনেমাটি আপাতত আমদানি করছে না তার প্রতিষ্ঠান। অন্য কেউ আমদানি করবে বলেও মনে করছেন না তিনি। ভারতীয় সিনেমা আমদানি করে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়াও। তবে ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ তারা আনবে না, নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ। দুই সপ্তাহ আগে দি অভি কথাচিত্র বাংলাদেশে মুক্তি দিয়েছিল বলিউডের ‘স্ত্রী ২’। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভিও ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ আমদানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন।
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • দ্বন্দ্ব চরমে, এবার নয়নতারাকে ধানুশের আল্টিমেটাম



    তুমুল দ্বন্দ্বে জড়ালেন ভারতের দক্ষিণী ছবির দুই সুপারস্টার ধানুশ ও নয়নতারা। মূলত একটি তথ্যচিত্রে সিনেমার ফুটেজ ব্যবহার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ধানুশের সমালোচনা করেছেন নয়নতারা। বিপরীতে ধানুশ কোনো মন্তব্য না করলেও আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন কড়া বার্তা। নয়নতারাকে দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম। নয়তো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেটফ্লিক্স থেকে তথ্যচিত্রটি সরিয়ে নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন ধানুশের আইনজীবী। লিগ্যাল স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, ‘২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’ থেকে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার বিনা অনুমতিতে নেওয়া দৃশ্য সরিয়ে ফেলতে বলুন। তা না হলে আমার মক্কেল শুধু ১০ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ নয়, আরও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।’

    নয়নতারার অভিনয়জীবন, মালয়ালম সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে তামিল, তেলুগু ও কন্নড়েও ‘লেডি সুপারস্টার’ হয়ে ওঠা, তার বিয়ে ও ব্যক্তিজীবন- সবকিছু নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’ নামের তথ্যচিত্রটি অভিনেত্রীর জন্মদিনে প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স। এ তথ্যচিত্র নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন নয়নতারা ও ধানুশ।

    প্রায় এক দশক আগে ধানুশের প্রযোজনায় একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন নয়নতারা। নাম ‘নানুম রাউডি ধান’। নয়নতারার ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এটি। ফলে অভিনেত্রী চেয়েছিলেন, সিনেমার কিছু ফুটেজ ও গানের অংশবিশেষ ব্যবহার করবেন তথ্যচিত্রে। যেহেতু কপিরাইটের ব্যাপার থাকে, তাই ধানুশের কাছে অনুমতি চান নয়নতারা।

    অভিনেত্রীর অভিযোগ, দুই বছর ধরে বারবার অনুরোধ করার পরও নাকি রাজি হননি ধানুশ। পরে নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেলের ট্রেলারে নানুম রাউডি ধান সিনেমার ৩ সেকেন্ডের একটি ফুটেজ ব্যবহার করেন। এতে চটে যান ধানুশ। আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ১০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন নয়নতারার কাছে। ধানুশের এমন ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছেন অভিনেত্রী। অভিযোগ করেছেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই নাকি এমনটি করেছেন ধানুশ।

    পরে ইনস্টাগ্রামে তিন পৃষ্ঠার একটি খোলাচিঠি লেখেন ধানুশের উদ্দেশে। চিঠির এক অংশে নয়নতারা লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তিত্ব আপনি পর্দায় তুলে ধরেন, তার অর্ধেকও আপনার মধ্যে নেই। যা বলেন, তা নিজে অনুশীলন করেন না।’ নয়নতারার অভিযোগের পর থেকে চুপ ছিলেন ধানুশ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সংবাদমাধ্যমে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে এবারও নিজে মুখ খুললেন না, কড়া বার্তা পাঠালেন আইনজীবীর মাধ্যমে।




    নয়নতারা-ধানুশ
    দ্বন্দ্ব চরমে, এবার নয়নতারাকে ধানুশের আল্টিমেটাম তুমুল দ্বন্দ্বে জড়ালেন ভারতের দক্ষিণী ছবির দুই সুপারস্টার ধানুশ ও নয়নতারা। মূলত একটি তথ্যচিত্রে সিনেমার ফুটেজ ব্যবহার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ধানুশের সমালোচনা করেছেন নয়নতারা। বিপরীতে ধানুশ কোনো মন্তব্য না করলেও আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন কড়া বার্তা। নয়নতারাকে দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম। নয়তো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেটফ্লিক্স থেকে তথ্যচিত্রটি সরিয়ে নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন ধানুশের আইনজীবী। লিগ্যাল স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, ‘২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’ থেকে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার বিনা অনুমতিতে নেওয়া দৃশ্য সরিয়ে ফেলতে বলুন। তা না হলে আমার মক্কেল শুধু ১০ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ নয়, আরও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।’ নয়নতারার অভিনয়জীবন, মালয়ালম সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে তামিল, তেলুগু ও কন্নড়েও ‘লেডি সুপারস্টার’ হয়ে ওঠা, তার বিয়ে ও ব্যক্তিজীবন- সবকিছু নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’ নামের তথ্যচিত্রটি অভিনেত্রীর জন্মদিনে প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স। এ তথ্যচিত্র নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন নয়নতারা ও ধানুশ। প্রায় এক দশক আগে ধানুশের প্রযোজনায় একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন নয়নতারা। নাম ‘নানুম রাউডি ধান’। নয়নতারার ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এটি। ফলে অভিনেত্রী চেয়েছিলেন, সিনেমার কিছু ফুটেজ ও গানের অংশবিশেষ ব্যবহার করবেন তথ্যচিত্রে। যেহেতু কপিরাইটের ব্যাপার থাকে, তাই ধানুশের কাছে অনুমতি চান নয়নতারা। অভিনেত্রীর অভিযোগ, দুই বছর ধরে বারবার অনুরোধ করার পরও নাকি রাজি হননি ধানুশ। পরে নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেলের ট্রেলারে নানুম রাউডি ধান সিনেমার ৩ সেকেন্ডের একটি ফুটেজ ব্যবহার করেন। এতে চটে যান ধানুশ। আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ১০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন নয়নতারার কাছে। ধানুশের এমন ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছেন অভিনেত্রী। অভিযোগ করেছেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই নাকি এমনটি করেছেন ধানুশ। পরে ইনস্টাগ্রামে তিন পৃষ্ঠার একটি খোলাচিঠি লেখেন ধানুশের উদ্দেশে। চিঠির এক অংশে নয়নতারা লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তিত্ব আপনি পর্দায় তুলে ধরেন, তার অর্ধেকও আপনার মধ্যে নেই। যা বলেন, তা নিজে অনুশীলন করেন না।’ নয়নতারার অভিযোগের পর থেকে চুপ ছিলেন ধানুশ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সংবাদমাধ্যমে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে এবারও নিজে মুখ খুললেন না, কড়া বার্তা পাঠালেন আইনজীবীর মাধ্যমে। নয়নতারা-ধানুশ
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর জীবনকথা





    আলী (রা.) তখন আমিরুল মুমিনিন। ছোট্ট শিশু সাবিত এসেছিলেন তার দরবারে। আলী (রা.) মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলেন তার বংশধরদের জন্য।

    দোয়ার বীজ মহীরুহ হতে বেশি সময় লাগেনি। তার দোয়ার অনেক বছর পর ৮০ হিজরিতে সাবিতের বংশে নূরের বাতি জ্বালিয়ে পৃথিবীতে আসেন নুমান নামের এক তুখোড় প্রতিভার অধিকারী মানবশিশু। তার পুরো নাম নুমান ইবনে সাবিত ইবনে জুতি ইবনে মাহ। গবেষকরা বলেন, ইমাম আবু হানিফার পূর্বপুরুষ পারস্যের সম্ভ্রান্ত বংশের লোক ছিলেন। তার মাতৃভাষা ছিল ফারসি।[ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.), পৃষ্ঠা-২৭]

    ইমাম আবু হানিফা পরিণত বয়সে বেশ কয়েকজন সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়েছেন। ফলে জীবনীকাররা সন্দেহাতীতভাবে তাকে তাবেঈ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    বিশ্লেষকরা বলেন, আনাস ইবনে মালেক (রা.), সাহল ইবনে সাদ (রা.), আবু তোফায়েল আমর ইবনে ওয়াসেলা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফাসহ (রা.) বেশ কয়েকজন সাহাবির সঙ্গে আবু হানিফার সাক্ষাৎ প্রমাণিত। ইমাম আজমের তাবেঈ হওয়ার বিষয়টি বিস্তারিত প্রমাণ পাওয়া যায় ইবনে সাদ, খতিব আল বাগদাদি, আবদুল করিম সামআনি, ইমাম নববি, ইমাম জাহাবি, হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি ও জাইনুদ্দিন ইরাকির লেখায়। (মানাকিবে ইমাম আবু হানিফা, পৃষ্ঠা-২৯৬)

    ইমাম আবু হানিফা যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন উমাইয়া শাসক হাজ্জাজ ক্ষমতায়। হাজ্জাজের পর ক্ষমতায় আসেন ওলিদ। এ দুই শাসকের সময়কালে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে আবু হানিফার। এ সময় তিনি পৈতৃক ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করতেন। পড়াশোনা তখনো শুরু করেননি।

    তার ইলমি সাগরে যাত্রা শুরু হয় সুলাইমানের শাসনের সময়। এ নিয়ে একটি সুন্দর গল্প প্রচলিত আছে। ঘটনাটি স্বয়ং ইমামের মুখে শোনা যাক : ‘একদিন আমি বাজারে যাচ্ছিলাম ব্যবসার কাজে। পথে কুফার বিখ্যাত আলেম ইমাম শাবির সঙ্গে দেখা। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, বাবা! তুমি কোথায় যাচ্ছ? আমি একজন সওদাগরের নাম বললাম। ইমাম বললেন, আমি জানতে চাচ্ছি, তুমি কারো কাছে পড়াশোনা করো কি না? আমার কণ্ঠে একরাশ আক্ষেপ ফুটে উঠল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, আমি কারো কাছে পড়ি না। আমার জবাব শুনে ইমাম শাবি বললেন, তোমার ভেতর আমি বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। তোমার অবশ্যই আলেমদের দরসে বসা উচিত। কথাগুলো আমার ভেতর ছুঁয়ে গেল। আমি ইলম সাধনার জন্য পাগল হয়ে গেলাম।’ (মানাকিবে ইমাম আজম, পৃষ্ঠা-৫৪)

    ইমাম আবু হানিফার উস্তাদদের মধ্যে ইমাম হাম্মাদ (রহ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কুফায় ইমাম হাম্মাদের মাদরাসা ছিল। তিনি বহু তাবেঈর উস্তাদ। আনাস (রা.) থেকে তিনি হাদিস বর্ণনা করেছেন। ফিকহের ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম ফকিহ সাহাবি ইবনে মাসউদের ফিকহ শিক্ষা দিতেন। ইমাম আবু হানিফা ১০ বছর ইমাম হাম্মাদের কাছে ফিকহ শিক্ষা করেন। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি দীর্ঘ ১০ বছর ইমাম হাম্মাদের মাদরাসায় পড়াশোনা করেছি। ১০ বছর শেষে আমার মনে হলো, এবার আমি পড়াতে পারি। কিন্তু উস্তাদের সম্মানে আমি পড়ানো থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি।’ (তারিখে বাগদাদি, খণ্ড-১৩, পৃষ্ঠা-৩৩৩)

    ইমাম হাম্মাদের মাদরাসায় পড়ার সময়ই ইলমে হাদিসের ব্যাপারে আগ্রহী হন ইমাম আজম (রহ.)। হাদিস শিক্ষার জন্য ইমাম আজম কুফার আলেমদের মজলিসে বসতে শুরু করলেন। কুফার মুহাদ্দিসদের থেকে দরস শেষ করে তিনি ইলমে হাদিসের জন্য মক্কা-মদিনায় ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস আতা ইবনে আবু রাবাহ আল কুরাইশির কাছে ইলমে হাদিস শিক্ষা করেন। আতা ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। প্রায় দুই শ সাহাবির সান্নিধ্য থেকে ইলম আহরণ করেছেন তিনি। সাহাবিরাও তার মজলিসে বসত। তিনি সাহাবিদের উপস্থিতিতে ফতোয়া দিতেন এবং তার ফতোয়া গ্রহণযোগ্য হতো। এ ছাড়া হাফেজে হাদিস আবদুল্লাহ ইবনে ইকরিমা, সুলাইমান ইয়াসার, সালিম ইবনে আবদুল্লাসহ মক্কা-মদিনার শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের থেকেও ইলমে হাদিস শেখেন ইমাম আজম (রহ.)। হাদিসের অন্যতম সেরা মনীষী ইমাম আওজায়ি (রহ.) ইমাম আবু হানিফাকে হাদিসের সনদ দেন।

    হাদিসের জগতেও তিনি ছিলেন সম্রাট। ইমাম আজমের হাত ধরে ‘কিতাবুল আছার’ নামে প্রথম সহিহ হাদিস গ্রন্থ রচিত হয়। অসংখ্য হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে তিনি এই গ্রন্থ রচনা করেন। ছদরুল আয়িম্মা মুওয়াফফাক ইবনে মক্কি (রহ.) বলেন, ইমাম আবু হানিফা ৪০ হাজার হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে কিতাবুল আছার সংকলন করেন। (মানাকিবু আবি হানিফা, পৃষ্ঠা-২৭)

    (মুফতি মানজুর হোসাইন খন্দকার, মুফাসসিরে কোরআন ও প্রিন্সিপাল, আন-নূর মাদরাসা, বাসাবো, ঢাকা এর লেখা থেকে)

    ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর জীবনকথা আলী (রা.) তখন আমিরুল মুমিনিন। ছোট্ট শিশু সাবিত এসেছিলেন তার দরবারে। আলী (রা.) মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলেন তার বংশধরদের জন্য। দোয়ার বীজ মহীরুহ হতে বেশি সময় লাগেনি। তার দোয়ার অনেক বছর পর ৮০ হিজরিতে সাবিতের বংশে নূরের বাতি জ্বালিয়ে পৃথিবীতে আসেন নুমান নামের এক তুখোড় প্রতিভার অধিকারী মানবশিশু। তার পুরো নাম নুমান ইবনে সাবিত ইবনে জুতি ইবনে মাহ। গবেষকরা বলেন, ইমাম আবু হানিফার পূর্বপুরুষ পারস্যের সম্ভ্রান্ত বংশের লোক ছিলেন। তার মাতৃভাষা ছিল ফারসি।[ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.), পৃষ্ঠা-২৭] ইমাম আবু হানিফা পরিণত বয়সে বেশ কয়েকজন সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়েছেন। ফলে জীবনীকাররা সন্দেহাতীতভাবে তাকে তাবেঈ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিশ্লেষকরা বলেন, আনাস ইবনে মালেক (রা.), সাহল ইবনে সাদ (রা.), আবু তোফায়েল আমর ইবনে ওয়াসেলা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফাসহ (রা.) বেশ কয়েকজন সাহাবির সঙ্গে আবু হানিফার সাক্ষাৎ প্রমাণিত। ইমাম আজমের তাবেঈ হওয়ার বিষয়টি বিস্তারিত প্রমাণ পাওয়া যায় ইবনে সাদ, খতিব আল বাগদাদি, আবদুল করিম সামআনি, ইমাম নববি, ইমাম জাহাবি, হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি ও জাইনুদ্দিন ইরাকির লেখায়। (মানাকিবে ইমাম আবু হানিফা, পৃষ্ঠা-২৯৬) ইমাম আবু হানিফা যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন উমাইয়া শাসক হাজ্জাজ ক্ষমতায়। হাজ্জাজের পর ক্ষমতায় আসেন ওলিদ। এ দুই শাসকের সময়কালে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে আবু হানিফার। এ সময় তিনি পৈতৃক ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করতেন। পড়াশোনা তখনো শুরু করেননি। তার ইলমি সাগরে যাত্রা শুরু হয় সুলাইমানের শাসনের সময়। এ নিয়ে একটি সুন্দর গল্প প্রচলিত আছে। ঘটনাটি স্বয়ং ইমামের মুখে শোনা যাক : ‘একদিন আমি বাজারে যাচ্ছিলাম ব্যবসার কাজে। পথে কুফার বিখ্যাত আলেম ইমাম শাবির সঙ্গে দেখা। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, বাবা! তুমি কোথায় যাচ্ছ? আমি একজন সওদাগরের নাম বললাম। ইমাম বললেন, আমি জানতে চাচ্ছি, তুমি কারো কাছে পড়াশোনা করো কি না? আমার কণ্ঠে একরাশ আক্ষেপ ফুটে উঠল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, আমি কারো কাছে পড়ি না। আমার জবাব শুনে ইমাম শাবি বললেন, তোমার ভেতর আমি বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। তোমার অবশ্যই আলেমদের দরসে বসা উচিত। কথাগুলো আমার ভেতর ছুঁয়ে গেল। আমি ইলম সাধনার জন্য পাগল হয়ে গেলাম।’ (মানাকিবে ইমাম আজম, পৃষ্ঠা-৫৪) ইমাম আবু হানিফার উস্তাদদের মধ্যে ইমাম হাম্মাদ (রহ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কুফায় ইমাম হাম্মাদের মাদরাসা ছিল। তিনি বহু তাবেঈর উস্তাদ। আনাস (রা.) থেকে তিনি হাদিস বর্ণনা করেছেন। ফিকহের ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম ফকিহ সাহাবি ইবনে মাসউদের ফিকহ শিক্ষা দিতেন। ইমাম আবু হানিফা ১০ বছর ইমাম হাম্মাদের কাছে ফিকহ শিক্ষা করেন। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি দীর্ঘ ১০ বছর ইমাম হাম্মাদের মাদরাসায় পড়াশোনা করেছি। ১০ বছর শেষে আমার মনে হলো, এবার আমি পড়াতে পারি। কিন্তু উস্তাদের সম্মানে আমি পড়ানো থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি।’ (তারিখে বাগদাদি, খণ্ড-১৩, পৃষ্ঠা-৩৩৩) ইমাম হাম্মাদের মাদরাসায় পড়ার সময়ই ইলমে হাদিসের ব্যাপারে আগ্রহী হন ইমাম আজম (রহ.)। হাদিস শিক্ষার জন্য ইমাম আজম কুফার আলেমদের মজলিসে বসতে শুরু করলেন। কুফার মুহাদ্দিসদের থেকে দরস শেষ করে তিনি ইলমে হাদিসের জন্য মক্কা-মদিনায় ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস আতা ইবনে আবু রাবাহ আল কুরাইশির কাছে ইলমে হাদিস শিক্ষা করেন। আতা ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। প্রায় দুই শ সাহাবির সান্নিধ্য থেকে ইলম আহরণ করেছেন তিনি। সাহাবিরাও তার মজলিসে বসত। তিনি সাহাবিদের উপস্থিতিতে ফতোয়া দিতেন এবং তার ফতোয়া গ্রহণযোগ্য হতো। এ ছাড়া হাফেজে হাদিস আবদুল্লাহ ইবনে ইকরিমা, সুলাইমান ইয়াসার, সালিম ইবনে আবদুল্লাসহ মক্কা-মদিনার শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের থেকেও ইলমে হাদিস শেখেন ইমাম আজম (রহ.)। হাদিসের অন্যতম সেরা মনীষী ইমাম আওজায়ি (রহ.) ইমাম আবু হানিফাকে হাদিসের সনদ দেন। হাদিসের জগতেও তিনি ছিলেন সম্রাট। ইমাম আজমের হাত ধরে ‘কিতাবুল আছার’ নামে প্রথম সহিহ হাদিস গ্রন্থ রচিত হয়। অসংখ্য হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে তিনি এই গ্রন্থ রচনা করেন। ছদরুল আয়িম্মা মুওয়াফফাক ইবনে মক্কি (রহ.) বলেন, ইমাম আবু হানিফা ৪০ হাজার হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে কিতাবুল আছার সংকলন করেন। (মানাকিবু আবি হানিফা, পৃষ্ঠা-২৭) (মুফতি মানজুর হোসাইন খন্দকার, মুফাসসিরে কোরআন ও প্রিন্সিপাল, আন-নূর মাদরাসা, বাসাবো, ঢাকা এর লেখা থেকে)
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • আজ গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায়

    গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ, লালবাগ ডিপিডিসি সাবস্টেশন সংলগ্ন এলাকা, লাকশাম বাজার, চান্দিরঘাট এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

    এতে আরও বলা হয়, ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

    আজ গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ, লালবাগ ডিপিডিসি সাবস্টেশন সংলগ্ন এলাকা, লাকশাম বাজার, চান্দিরঘাট এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এতে আরও বলা হয়, ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • #Parliament সংবিধান সংশোধন একমাত্র পারে পার্লামেন্ট : হাসান আরিফ



    সংবিধান সংশোধনের একমাত্র অধিকার পার্লামেন্টের উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ‌‘একটা ধারণা বোধহয় প্রচার করা হচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংশোধন করবে। আসলে কোনো সরকারেরই কোনো অধিকার নেই, সাংবিধানিক অধিকার নেই সংবিধানকে সংশোধন করার। এটা একমাত্র পারে পার্লামেন্ট। আগামীতে যে পার্লামেন্ট গঠিত হবে সেই পার্লামেন্ট সংশোধন করবে।’

    বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘সংবিধান প্রণয়নে জনঅংশগ্রহণ : অন্তর্ভুক্তিমূলক-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘প্রশ্ন হলো তারা কি সংশোধন করবে? তাদের সামনে জনগণের যে প্রত্যাশা, যে দাবি, যে আকাঙ্ক্ষা সেটাই এখন বিভিন্নভাবে কমিশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা একটি খসড়া দেবেন, রিকমেন্ডেশন দেবেন, সাজেশন দেবেন। আগামীতে যারা পার্লামেন্ট গঠন করবেন তাদের সামনে একটি নাগরিক চার্টার হিসেবে থাকবে (সংবিধানের খসড়াটি)। তারা সেগুলোকে বাস্তবায়ন করবেন। তাদের নিজস্ব চিন্তাধারার মাধ্যমে যে খসড়া বা সাজেশন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তারা আরও নতুন নতুন অনেক কিছু আনতে পারবেন।’

    ‘পঞ্চম আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব ২০২৪' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ডিবেটিং ক্লাব ‘ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাব'। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন আইনের ইতিহাস গবেষক রাশেদ রাহম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মো. মিরাজ মিয়া। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক ও বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারি ও ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি রাগীব আনজুম।

    #Parliament সংবিধান সংশোধন একমাত্র পারে পার্লামেন্ট : হাসান আরিফ সংবিধান সংশোধনের একমাত্র অধিকার পার্লামেন্টের উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ‌‘একটা ধারণা বোধহয় প্রচার করা হচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংশোধন করবে। আসলে কোনো সরকারেরই কোনো অধিকার নেই, সাংবিধানিক অধিকার নেই সংবিধানকে সংশোধন করার। এটা একমাত্র পারে পার্লামেন্ট। আগামীতে যে পার্লামেন্ট গঠিত হবে সেই পার্লামেন্ট সংশোধন করবে।’ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘সংবিধান প্রণয়নে জনঅংশগ্রহণ : অন্তর্ভুক্তিমূলক-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘প্রশ্ন হলো তারা কি সংশোধন করবে? তাদের সামনে জনগণের যে প্রত্যাশা, যে দাবি, যে আকাঙ্ক্ষা সেটাই এখন বিভিন্নভাবে কমিশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা একটি খসড়া দেবেন, রিকমেন্ডেশন দেবেন, সাজেশন দেবেন। আগামীতে যারা পার্লামেন্ট গঠন করবেন তাদের সামনে একটি নাগরিক চার্টার হিসেবে থাকবে (সংবিধানের খসড়াটি)। তারা সেগুলোকে বাস্তবায়ন করবেন। তাদের নিজস্ব চিন্তাধারার মাধ্যমে যে খসড়া বা সাজেশন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তারা আরও নতুন নতুন অনেক কিছু আনতে পারবেন।’ ‘পঞ্চম আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব ২০২৪' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ডিবেটিং ক্লাব ‘ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাব'। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন আইনের ইতিহাস গবেষক রাশেদ রাহম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মো. মিরাজ মিয়া। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক ও বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারি ও ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি রাগীব আনজুম।
    0 Comments 0 Shares 42 Views 0 Reviews
  • ব্রুনেইয়ের সংবিধানে ইসলামী আইন




    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনেই ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রুনেই একটি রাজতান্ত্রিক ইসলামী দেশ। এর দাপ্তরিক নাম নেগারা ব্রুনেই দারুসসালাম। ব্রুনেইয়ের ৮২ শতাংশ মানুষ মুসলিম এবং ৭৪ শতাংশ মানুষ মালয় নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত।


    সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন আছে ব্রুনেইয়ের সংবিধানে। ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসান বলখিয়া মালয় ইসলামিক মোনার্কিকে (এমএইবি) জাতীয় দর্শন ঘোষণা করেছেন, যার মূলকথা হলো, ‘মালয় ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য; ইসলামী অনুশাসন, আইন ও মূল্যবোধ এবং রাজতন্ত্রের মিশ্রণে গড়ে ওঠা একটি ব্যবস্থা, যা সবাই চর্চা করবে এবং যার প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকবে।’

    স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করার সময় থেকেই ব্রুনেই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং তার যাবতীয় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে এর প্রতিফলন ঘটেছে। জাতীয় এই তিন মূলনীতি তথা মালয় সংস্কৃতি, ইসলামী অনুশাসন ও রাজতন্ত্র সামনে রেখেই ব্রুনেইয়ের সংবিধান রচিত হয়েছে।

    তাতে মালয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য, ইসলামী আইন ও মূল্যবোধ এবং রাজতন্ত্রের পরিপন্থী বিষয়গুলো পরিহার করা হয়েছে। ব্রুনেইয়ের সংবিধান ১৯৫৯ সালে রচিত। ২০০৪ ও ২০১৮ সালে তাতে সংশোধনী ও সংযোজন সংঘটিত হয়।

    এখানে ব্রুনেইয়ের সংবিধানের সেই সব ধারা, উপধারা ও অনুচ্ছেদগুলো তুলে ধরা হলো, যাতে ইসলামী আইন ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে।

    ১. আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু : মহান আল্লাহর প্রশংসা (হামদ) ও মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের মাধ্যমে সংবিধানের শুরু করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়। সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য এবং আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা.), তার পরিবারবর্গ ও সাহাবিদের ওপর আল্লাহর বরকত ও শান্তি বর্ষিত হোক।’

    ২. আল্লাহর রহমতে সুলতানের সার্বভৌমত্ব : সংবিধানের সূচনাপর্বে আল্লাহর রহমতের অধীনে ব্রুনেইয়ের সুলতানের সার্বভৌমত্ব ও তার পরিবারের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হয়েছে।

    ৩. ধর্মাদর্শ : সংবিধানের প্রথম ভাগ, অনুচ্ছেদ-২-এর ধারা (C) -কে ‘ইসলাম ধর্ম’ কথার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘ইসলাম ধর্মের অর্থ হলো শাফেয়ি মাজহাব ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ অনুসারে ইসলামের অনুশীলন।

    ৪. রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম : সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ, অনুচ্ছেদ-৩-এর ধারা-১-এ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্রুনেই দারুসসালামের দাপ্তরিক ধর্ম হবে ইসলাম। তবে অন্য ধর্মের অনুসারী ব্যক্তিরা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে তা পালন করতে পারবে।

    ৫. ধর্মীয় পর্ষদ : দ্বিতীয় ভাগ, অনুচ্ছেদ-৩-এর ধারা-৩-এ একটি ধর্মীয় পর্ষদের কথা বলা হয়েছে, যাদের দায়িত্ব হবে ইসলাম সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে সুলতানকে পরামর্শ দেওয়া।

    ৬. মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা মুসলিম হবেন : সংবিধানের তৃতীয় ভাগ, অনুচ্ছেদ-৪-এর ধারা-৫-এ বলা হয়েছে, মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ দেওয়া হবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ও মালয় জাতি থেকে। তবে সুলতান ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রাখেন।

    ৭. সুলতানের উপদেষ্টা পদে মুফতি : চতুর্থ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৫-এর ধারা-২-এর উপধারা (C) -তে বলা হয়েছে, পদাধিকারবলে মুফতি কিরাজান (রাষ্ট্রের প্রধান মুফতি) ও শরয়ি আদালতের প্রধান সুলতানের উপদেষ্টা হবেন।

    ৮. ক্ষমা পর্ষদে মুফতি : চতুর্থ ভাগ (A), অনুচ্ছেদ-৮ (A)-এর ধারা-১-এ বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল ও মুফতি কিরাজানসহ সর্বোচ্চ তিন সদস্যের ক্ষমা পর্ষদ (Pardons Board) গঠন করা হবে।

    ৯. ক্ষমার আগে মুফতির মতামত : চতুর্থ ভাগ (A) , অনুচ্ছেদ-৮ (A)-এর ধারা-৫-এ বলা হয়েছে, কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার আগে ক্ষমা বোর্ড প্রযোজ্য আইন বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ইসলামী আইনের যেকোনো দিক সম্পর্কে মুফতি কিরাজান প্রদত্ত লিখিত মতামত বিবেচনা করবে।

    ১০. মুরতাদ আইন পরিষদের সদস্য হবে না : সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৩০-এর ধারা (E) -তে বলা হয়েছে, শরয়ি আইন অনুসারে কোনো মুরতাদ (ধর্মদ্রোহী) আইন পরিষদের সদস্য হতে পারবে না।

    ১১. ইসলামবিরোধী বিল উত্থাপন নয় : সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ-৪২-এর ধারা-১-এর উপধারা (E) -তে বলা হয়েছে, আইন পরিষদে এমন কোনো বিল, প্রস্তাব, সংশোধনী ও আলোচনা উত্থান করা যাবে না, যা জাতীয় দর্শন মালয় ইসলামিক মোনার্কির পরিপন্থী।

    ১২. আইন পরিষদে ধর্মবিরোধী আলোচনা নয় : সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ-৫৩-এর ধারা-১এ-এর উপধারা (A) -তে বলা হয়েছে, আইন পরিষদের কোনো সদস্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জাতীয় দর্শন মালয় ইসলামিক মোনার্কির পরিপন্থী কোনো বক্তব্য প্রদান বা মন্তব্য করতে পারবে না।

    ১৩. জাকাত ফান্ড কর আইনের অধীন নয় : অষ্টম ভাগ, অনুচ্ছেদ-৬৯-এ বলা হয়েছে, এই অংশের বিধানগুলো (কর সংক্রান্ত) ‘মুসলিম রেভিনিউজ অ্যান্ড ফান্ডস’-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সম্ভবত এর দ্বারা ধারা ও ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্দেশ্য।

    ১৪. স্পর্শকাতর দপ্তরে কেবল মুসলিম নিয়োগ : একাদশ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৮৪ -তে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইসলাম ধর্মের অনুসারী, মালয় জাতি ও ব্রুনেই দারুসসালামের নাগরিক না হলে তাকে তৃতীয় তফসিলে নির্দিষ্ট কোনো অফিসে নিয়োগ দেওয়া হবে না। তৃতীয় তফসিলে ১০টি দপ্তরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তা হলো—১. মহাহিসাব রক্ষক, ২. উপদেষ্টা পর্ষদ কর্মকর্তা, ৩. আইন পরিষদ কর্মকর্তা, ৪. প্রধান শরিয়া বিচারপতি, ৫. মুফতি কিরাজান, ৬. প্রধান আইন কর্মকর্তা, ৭. পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, ৮. আদত ইস্তিদাত তথা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তর, ৯. আইন পরিষদের স্পিকার ও ১০. মন্ত্রিপরিষদসচিব।

    ১৫. ইন্টারপ্রিটেশন ট্রাইব্যুনালে ইসলামী আইনজ্ঞ নিয়োগ : দ্বাদশ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৮৬-এর ধারা-৭, উপধারা (C) -তে বলা হয়েছে, ইন্টারপ্রিটেশন ট্রাইব্যুনাল তিন সদস্যের হবে, যার একজন হবেন এমন একজন, যার ইসলামী আইন বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অথবা যিনি ইসলামী আইন ও বিচার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবেন। এই ব্যক্তি যেকোনো দেশের নাগরিক হতে পারবেন।

    ১৬. আল্লাহর নামে শপথ : সংবিধানের তফসিল-১-এ উপদেষ্টা পরিষদ, উপদেষ্টা পর্ষদ কর্মকর্তা ও মন্ত্রিপরিষদসচিব, মন্ত্রিপরিষদ, আইন পরিষদের সদস্য ও আইন পরিষদ কর্মকর্তাদের শপথের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এতে মুসলিম সদস্য ও কর্মকর্তাদের জন্য আল্লাহর নামে শপথ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যার আরবি উচ্চারণ হলো, ‘ওয়াল্লাহি ওয়া বিল্লাহি ওয়া তাল্লাহি’।

    ১৭. দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি : আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার মাধ্যমে সংবিধানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি সব প্রশংসার অধিকারী, যার নামগুলো সমুন্নত, যিনি সকল বাদশাহর বাদশাহ, তিনি তার রহমতের ধারা অব্যাহত রাখুন; তিনি মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শান্তি বর্ষণ করুন, তিনি এই সংবিধানের প্রতি চিরকালের জন্য অনুগ্রহ বর্ষণ করুন। কবুল করুন হে বিশ্বজগতের পালনকর্তা!’

    ১৮. অন্যান্য : সংবিধানের প্রথম ভাগে অনুচ্ছেদ-৭৭-এর আলোকে ‘দ্য রিলিজিয়াস কাউন্সিল অ্যান্ড কাদিস কোর্টস অ্যাক্ট’-এর অধীনে মুফতি কিরাজান নিয়োগ এবং ‘মুসলিম রেভিনিউজ অ্যান্ড ফান্ডস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। ৭৭ অনুচ্ছেদে ইসলামী আদালত গঠন, ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও জাকাত ব্যবস্থাপনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ব্রুনেইয়ের সংবিধানের সংশোধিত সংস্করণ ২০১১ অবলম্বনে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।


    সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ, বন্দর সেরি বেগাওয়ান, ব্রুনেই। ছবি: সংগৃহীত




    ব্রুনেইয়ের সংবিধানে ইসলামী আইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনেই ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রুনেই একটি রাজতান্ত্রিক ইসলামী দেশ। এর দাপ্তরিক নাম নেগারা ব্রুনেই দারুসসালাম। ব্রুনেইয়ের ৮২ শতাংশ মানুষ মুসলিম এবং ৭৪ শতাংশ মানুষ মালয় নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন আছে ব্রুনেইয়ের সংবিধানে। ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসান বলখিয়া মালয় ইসলামিক মোনার্কিকে (এমএইবি) জাতীয় দর্শন ঘোষণা করেছেন, যার মূলকথা হলো, ‘মালয় ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য; ইসলামী অনুশাসন, আইন ও মূল্যবোধ এবং রাজতন্ত্রের মিশ্রণে গড়ে ওঠা একটি ব্যবস্থা, যা সবাই চর্চা করবে এবং যার প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকবে।’ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করার সময় থেকেই ব্রুনেই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং তার যাবতীয় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে এর প্রতিফলন ঘটেছে। জাতীয় এই তিন মূলনীতি তথা মালয় সংস্কৃতি, ইসলামী অনুশাসন ও রাজতন্ত্র সামনে রেখেই ব্রুনেইয়ের সংবিধান রচিত হয়েছে। তাতে মালয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য, ইসলামী আইন ও মূল্যবোধ এবং রাজতন্ত্রের পরিপন্থী বিষয়গুলো পরিহার করা হয়েছে। ব্রুনেইয়ের সংবিধান ১৯৫৯ সালে রচিত। ২০০৪ ও ২০১৮ সালে তাতে সংশোধনী ও সংযোজন সংঘটিত হয়। এখানে ব্রুনেইয়ের সংবিধানের সেই সব ধারা, উপধারা ও অনুচ্ছেদগুলো তুলে ধরা হলো, যাতে ইসলামী আইন ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে। ১. আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু : মহান আল্লাহর প্রশংসা (হামদ) ও মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের মাধ্যমে সংবিধানের শুরু করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়। সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য এবং আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সা.), তার পরিবারবর্গ ও সাহাবিদের ওপর আল্লাহর বরকত ও শান্তি বর্ষিত হোক।’ ২. আল্লাহর রহমতে সুলতানের সার্বভৌমত্ব : সংবিধানের সূচনাপর্বে আল্লাহর রহমতের অধীনে ব্রুনেইয়ের সুলতানের সার্বভৌমত্ব ও তার পরিবারের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। ৩. ধর্মাদর্শ : সংবিধানের প্রথম ভাগ, অনুচ্ছেদ-২-এর ধারা (C) -কে ‘ইসলাম ধর্ম’ কথার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘ইসলাম ধর্মের অর্থ হলো শাফেয়ি মাজহাব ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ অনুসারে ইসলামের অনুশীলন। ৪. রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম : সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ, অনুচ্ছেদ-৩-এর ধারা-১-এ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্রুনেই দারুসসালামের দাপ্তরিক ধর্ম হবে ইসলাম। তবে অন্য ধর্মের অনুসারী ব্যক্তিরা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে তা পালন করতে পারবে। ৫. ধর্মীয় পর্ষদ : দ্বিতীয় ভাগ, অনুচ্ছেদ-৩-এর ধারা-৩-এ একটি ধর্মীয় পর্ষদের কথা বলা হয়েছে, যাদের দায়িত্ব হবে ইসলাম সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে সুলতানকে পরামর্শ দেওয়া। ৬. মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা মুসলিম হবেন : সংবিধানের তৃতীয় ভাগ, অনুচ্ছেদ-৪-এর ধারা-৫-এ বলা হয়েছে, মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ দেওয়া হবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ও মালয় জাতি থেকে। তবে সুলতান ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রাখেন। ৭. সুলতানের উপদেষ্টা পদে মুফতি : চতুর্থ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৫-এর ধারা-২-এর উপধারা (C) -তে বলা হয়েছে, পদাধিকারবলে মুফতি কিরাজান (রাষ্ট্রের প্রধান মুফতি) ও শরয়ি আদালতের প্রধান সুলতানের উপদেষ্টা হবেন। ৮. ক্ষমা পর্ষদে মুফতি : চতুর্থ ভাগ (A), অনুচ্ছেদ-৮ (A)-এর ধারা-১-এ বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল ও মুফতি কিরাজানসহ সর্বোচ্চ তিন সদস্যের ক্ষমা পর্ষদ (Pardons Board) গঠন করা হবে। ৯. ক্ষমার আগে মুফতির মতামত : চতুর্থ ভাগ (A) , অনুচ্ছেদ-৮ (A)-এর ধারা-৫-এ বলা হয়েছে, কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার আগে ক্ষমা বোর্ড প্রযোজ্য আইন বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ইসলামী আইনের যেকোনো দিক সম্পর্কে মুফতি কিরাজান প্রদত্ত লিখিত মতামত বিবেচনা করবে। ১০. মুরতাদ আইন পরিষদের সদস্য হবে না : সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৩০-এর ধারা (E) -তে বলা হয়েছে, শরয়ি আইন অনুসারে কোনো মুরতাদ (ধর্মদ্রোহী) আইন পরিষদের সদস্য হতে পারবে না। ১১. ইসলামবিরোধী বিল উত্থাপন নয় : সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ-৪২-এর ধারা-১-এর উপধারা (E) -তে বলা হয়েছে, আইন পরিষদে এমন কোনো বিল, প্রস্তাব, সংশোধনী ও আলোচনা উত্থান করা যাবে না, যা জাতীয় দর্শন মালয় ইসলামিক মোনার্কির পরিপন্থী। ১২. আইন পরিষদে ধর্মবিরোধী আলোচনা নয় : সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ-৫৩-এর ধারা-১এ-এর উপধারা (A) -তে বলা হয়েছে, আইন পরিষদের কোনো সদস্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জাতীয় দর্শন মালয় ইসলামিক মোনার্কির পরিপন্থী কোনো বক্তব্য প্রদান বা মন্তব্য করতে পারবে না। ১৩. জাকাত ফান্ড কর আইনের অধীন নয় : অষ্টম ভাগ, অনুচ্ছেদ-৬৯-এ বলা হয়েছে, এই অংশের বিধানগুলো (কর সংক্রান্ত) ‘মুসলিম রেভিনিউজ অ্যান্ড ফান্ডস’-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সম্ভবত এর দ্বারা ধারা ও ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্দেশ্য। ১৪. স্পর্শকাতর দপ্তরে কেবল মুসলিম নিয়োগ : একাদশ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৮৪ -তে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইসলাম ধর্মের অনুসারী, মালয় জাতি ও ব্রুনেই দারুসসালামের নাগরিক না হলে তাকে তৃতীয় তফসিলে নির্দিষ্ট কোনো অফিসে নিয়োগ দেওয়া হবে না। তৃতীয় তফসিলে ১০টি দপ্তরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তা হলো—১. মহাহিসাব রক্ষক, ২. উপদেষ্টা পর্ষদ কর্মকর্তা, ৩. আইন পরিষদ কর্মকর্তা, ৪. প্রধান শরিয়া বিচারপতি, ৫. মুফতি কিরাজান, ৬. প্রধান আইন কর্মকর্তা, ৭. পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, ৮. আদত ইস্তিদাত তথা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তর, ৯. আইন পরিষদের স্পিকার ও ১০. মন্ত্রিপরিষদসচিব। ১৫. ইন্টারপ্রিটেশন ট্রাইব্যুনালে ইসলামী আইনজ্ঞ নিয়োগ : দ্বাদশ ভাগ, অনুচ্ছেদ-৮৬-এর ধারা-৭, উপধারা (C) -তে বলা হয়েছে, ইন্টারপ্রিটেশন ট্রাইব্যুনাল তিন সদস্যের হবে, যার একজন হবেন এমন একজন, যার ইসলামী আইন বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অথবা যিনি ইসলামী আইন ও বিচার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবেন। এই ব্যক্তি যেকোনো দেশের নাগরিক হতে পারবেন। ১৬. আল্লাহর নামে শপথ : সংবিধানের তফসিল-১-এ উপদেষ্টা পরিষদ, উপদেষ্টা পর্ষদ কর্মকর্তা ও মন্ত্রিপরিষদসচিব, মন্ত্রিপরিষদ, আইন পরিষদের সদস্য ও আইন পরিষদ কর্মকর্তাদের শপথের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এতে মুসলিম সদস্য ও কর্মকর্তাদের জন্য আল্লাহর নামে শপথ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যার আরবি উচ্চারণ হলো, ‘ওয়াল্লাহি ওয়া বিল্লাহি ওয়া তাল্লাহি’। ১৭. দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি : আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার মাধ্যমে সংবিধানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি সব প্রশংসার অধিকারী, যার নামগুলো সমুন্নত, যিনি সকল বাদশাহর বাদশাহ, তিনি তার রহমতের ধারা অব্যাহত রাখুন; তিনি মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শান্তি বর্ষণ করুন, তিনি এই সংবিধানের প্রতি চিরকালের জন্য অনুগ্রহ বর্ষণ করুন। কবুল করুন হে বিশ্বজগতের পালনকর্তা!’ ১৮. অন্যান্য : সংবিধানের প্রথম ভাগে অনুচ্ছেদ-৭৭-এর আলোকে ‘দ্য রিলিজিয়াস কাউন্সিল অ্যান্ড কাদিস কোর্টস অ্যাক্ট’-এর অধীনে মুফতি কিরাজান নিয়োগ এবং ‘মুসলিম রেভিনিউজ অ্যান্ড ফান্ডস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। ৭৭ অনুচ্ছেদে ইসলামী আদালত গঠন, ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও জাকাত ব্যবস্থাপনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রুনেইয়ের সংবিধানের সংশোধিত সংস্করণ ২০১১ অবলম্বনে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ, বন্দর সেরি বেগাওয়ান, ব্রুনেই। ছবি: সংগৃহীত
    0 Comments 0 Shares 65 Views 0 Reviews
  • Tumor Cancer
    >>>>টিউমার কখন ক্যান্সারে রূপ নেবে, কিভাবে বুঝবেন?   টিউমার হলো শরীরের কোষের অস্বাবিক বৃদ্ধির ফল। ক্যান্সারও তাই। তাই বলে সব টিউমারই ক্যান্সার নয়, সব টিউমার ক্ষতিকরও নয়। টিউমার সাধারণত দুধরনের হয়—বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট। বিনাইন টিউমার সাধারণত ক্ষতিকর নয়। তবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। ক্যান্সার এবং টিউমারের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হলে কিছু নির্দিষ্ট...
    0 Comments 0 Shares 70 Views 0 Reviews
  • জবির ভর্তি পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন



    সমন্বিত গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪৮ নম্বর হবে লিখিত, আর ২৪ নম্বর হবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। বাকি ২৮ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে।
    বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ‘আগামী ৩১ জানুয়ারি 'ই' ইউনিট চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ডি ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি বি ইউনিট কলা অনুষদ, ২১ ফেব্রুয়ারি এ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সি ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণ শেষ হবে।


    বিজ্ঞান ও বিজনেস অনুষদের পরীক্ষার জন্য এইচএসসিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিলেবাস ও কলা অনুষদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখিত ও বহুনির্বাচনি আকারে প্রশ্ন হবে বলে জানান রেজিস্ট্রার। এছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে ১২ ও ১৬ মার্ক হিসেব করা হবে।

    জবির ভর্তি পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন সমন্বিত গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪৮ নম্বর হবে লিখিত, আর ২৪ নম্বর হবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। বাকি ২৮ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩১ জানুয়ারি 'ই' ইউনিট চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ডি ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি বি ইউনিট কলা অনুষদ, ২১ ফেব্রুয়ারি এ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সি ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণ শেষ হবে। ’ বিজ্ঞান ও বিজনেস অনুষদের পরীক্ষার জন্য এইচএসসিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিলেবাস ও কলা অনুষদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখিত ও বহুনির্বাচনি আকারে প্রশ্ন হবে বলে জানান রেজিস্ট্রার। এছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে ১২ ও ১৬ মার্ক হিসেব করা হবে।
    0 Comments 0 Shares 67 Views 0 Reviews
  • পুলিশের নতুন আইজি বাহারুল আলম



    বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাহারুল আলম। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নতুন আইজিপি নিয়োগের কথা জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

    আইজিপির সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ডিএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ সাজ্জাদ আলী।



    জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল হয়। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সরিয়ে পুলিশের ৩২তম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট মো. ময়নুল ইসলাম। এর তিন মাসের মধ্যে তাকে সরিয়ে বাহারুল আলমকে নিয়োগ দিল সরকার।

    জানা যায়, নতুন আইজিপি বাহারুল আলম এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানসহ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের শান্তি রক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন।



    এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান।

    পুলিশের নতুন আইজি বাহারুল আলম বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাহারুল আলম। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নতুন আইজিপি নিয়োগের কথা জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আইজিপির সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ডিএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ সাজ্জাদ আলী। ’ জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল হয়। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সরিয়ে পুলিশের ৩২তম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট মো. ময়নুল ইসলাম। এর তিন মাসের মধ্যে তাকে সরিয়ে বাহারুল আলমকে নিয়োগ দিল সরকার। জানা যায়, নতুন আইজিপি বাহারুল আলম এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানসহ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের শান্তি রক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান।
    0 Comments 0 Shares 67 Views 0 Reviews
  • পৃথিবীর কাছাকাছি ‘দ্বিতীয় চাঁদ’: মহাকাশপ্রেমীদের জন্য বিরল ঘটনা




    পৃথিবীর আকাশে মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। গ্রহাণু ২০২৪ পিটি৫, যাকে ‘মিনি চাঁদ’ বা ‘দ্বিতীয় চাঁদ’ বলা হচ্ছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আটকা পড়েছিল। এটি প্রথম আবিষ্কার করা হয় ৭ আগস্ট নাসার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি গ্রহাণু শনাক্তকারী সিস্টেমে।

    বাসের আকারের এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৭ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে চলাচল করেছে। যদিও এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসে, গ্রহাণুটির আকার ছোট এবং আলোকিত না হওয়ায় খালি চোখে দেখা যায়নি। কেবলমাত্র শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহারকারীরাই এটিকে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৭ ফুট দৈর্ঘ্যের এই গ্রহাণুটি আরজুনা গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে এসেছে। এটি এমন একটি অঞ্চল, যেখানে সূর্য থেকে ৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরে আদিম ধূলিকণার মতো উপাদান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো পৃথিবীর চাঁদ থেকে প্রাচীন কোনো সংঘর্ষে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি অংশ, যা আবার পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরে এসেছে।

    মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকার সাটারল্যান্ডে নাসা-তহবিলপুষ্ট একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এই গ্রহাণুটিকে শনাক্ত করেন।

    ‘মিনি চাঁদ’ বলতে এমন গ্রহাণু বা ধূমকেতুকে বোঝানো হয়, যেগুলো পৃথিবীর খুব কাছে এসে সাময়িক সময়ের জন্য মাধ্যাকর্ষণে আটকা পড়ে। তবে, অনেক সময় এগুলোকে মহাকাশে হারিয়ে যাওয়া স্যাটেলাইট বা রকেটের টুকরো বলেও শনাক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ পিটি৫ তার এই সফর শেষে আবার অদৃশ্য হবে এবং এটি পুনরায় দেখা যাবে ২০৫৫ সালে। মহাকাশপ্রেমীরা এই বিরল ঘটনাকে স্মরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তথ্যসূত্র: NASA, Complutense University of Madrid, এবং The Metro-এর প্রতিবেদন।
    পৃথিবীর কাছাকাছি ‘দ্বিতীয় চাঁদ’: মহাকাশপ্রেমীদের জন্য বিরল ঘটনা পৃথিবীর আকাশে মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। গ্রহাণু ২০২৪ পিটি৫, যাকে ‘মিনি চাঁদ’ বা ‘দ্বিতীয় চাঁদ’ বলা হচ্ছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আটকা পড়েছিল। এটি প্রথম আবিষ্কার করা হয় ৭ আগস্ট নাসার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি গ্রহাণু শনাক্তকারী সিস্টেমে। বাসের আকারের এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৭ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে চলাচল করেছে। যদিও এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসে, গ্রহাণুটির আকার ছোট এবং আলোকিত না হওয়ায় খালি চোখে দেখা যায়নি। কেবলমাত্র শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহারকারীরাই এটিকে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৭ ফুট দৈর্ঘ্যের এই গ্রহাণুটি আরজুনা গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে এসেছে। এটি এমন একটি অঞ্চল, যেখানে সূর্য থেকে ৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরে আদিম ধূলিকণার মতো উপাদান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো পৃথিবীর চাঁদ থেকে প্রাচীন কোনো সংঘর্ষে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি অংশ, যা আবার পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরে এসেছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকার সাটারল্যান্ডে নাসা-তহবিলপুষ্ট একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এই গ্রহাণুটিকে শনাক্ত করেন। ‘মিনি চাঁদ’ বলতে এমন গ্রহাণু বা ধূমকেতুকে বোঝানো হয়, যেগুলো পৃথিবীর খুব কাছে এসে সাময়িক সময়ের জন্য মাধ্যাকর্ষণে আটকা পড়ে। তবে, অনেক সময় এগুলোকে মহাকাশে হারিয়ে যাওয়া স্যাটেলাইট বা রকেটের টুকরো বলেও শনাক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ পিটি৫ তার এই সফর শেষে আবার অদৃশ্য হবে এবং এটি পুনরায় দেখা যাবে ২০৫৫ সালে। মহাকাশপ্রেমীরা এই বিরল ঘটনাকে স্মরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তথ্যসূত্র: NASA, Complutense University of Madrid, এবং The Metro-এর প্রতিবেদন।
    0 Comments 0 Shares 68 Views 0 Reviews
  • ২০৫০ সালের জন্য তিনটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করলো ইউনিসেফ



    জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির দ্রুত রূপান্তর মধ্য-২১ শতকের যুবসমাজের জন্য অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউনিসেফের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, শিশুরা একাধিক সংকটে জর্জরিত, যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও অনলাইন ঝুঁকি, যা ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে।

    এ প্রতিবেদনে ২০৫০ সাল পর্যন্ত তিনটি প্রধান প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে, যা যদি এখনই নীতি নির্ধারকরা ব্যবস্থা না নেন, তাহলে শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে।

    ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা হাজার কোটিতে পৌঁছাবে। এসময় শিশুদের সংখ্যা বর্তমান ২.৩ বিলিয়নের মতো থাকলেও, তাদের অংশীদারিত্ব কমে যাবে। উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের সংখ্যা ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে, যা তাদের সামাজিক অধিকার ও প্রতিনিধিত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

    অন্যদিকে, উপ-সাহারা আফ্রিকার মতো দরিদ্র অঞ্চলে শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। তবে এটি তখনই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করবে, যদি এই শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়।

    বর্তমান হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ চলতে থাকলে, ২০৫০ সালের মধ্যে শিশুদের আট গুণ বেশি তাপপ্রবাহ, তিন গুণ বেশি বন্যা এবং ১.৭ গুণ বেশি দাবানলের সম্মুখীন হতে হবে।

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নতুন উদ্ভাবনের সম্ভাবনা তৈরি করলেও, এটি ধনী এবং দরিদ্র দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বৈষম্য বাড়াতে পারে। উন্নত দেশে ৯৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেলেও, দরিদ্রতম দেশগুলোতে এই হার মাত্র ২৬ শতাংশ।

    ইউনিসেফের মতে, সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ব্যর্থ হলে, একটি সুবিধাবঞ্চিত প্রজন্ম আরও পিছিয়ে পড়বে। ইউনিসেফের এ প্রতিবেদন নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তিগত সুযোগ নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেয়।

    ২০৫০ সালের জন্য তিনটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করলো ইউনিসেফ জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির দ্রুত রূপান্তর মধ্য-২১ শতকের যুবসমাজের জন্য অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউনিসেফের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, শিশুরা একাধিক সংকটে জর্জরিত, যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও অনলাইন ঝুঁকি, যা ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে। এ প্রতিবেদনে ২০৫০ সাল পর্যন্ত তিনটি প্রধান প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে, যা যদি এখনই নীতি নির্ধারকরা ব্যবস্থা না নেন, তাহলে শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা হাজার কোটিতে পৌঁছাবে। এসময় শিশুদের সংখ্যা বর্তমান ২.৩ বিলিয়নের মতো থাকলেও, তাদের অংশীদারিত্ব কমে যাবে। উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের সংখ্যা ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে, যা তাদের সামাজিক অধিকার ও প্রতিনিধিত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, উপ-সাহারা আফ্রিকার মতো দরিদ্র অঞ্চলে শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। তবে এটি তখনই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করবে, যদি এই শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়। বর্তমান হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ চলতে থাকলে, ২০৫০ সালের মধ্যে শিশুদের আট গুণ বেশি তাপপ্রবাহ, তিন গুণ বেশি বন্যা এবং ১.৭ গুণ বেশি দাবানলের সম্মুখীন হতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নতুন উদ্ভাবনের সম্ভাবনা তৈরি করলেও, এটি ধনী এবং দরিদ্র দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বৈষম্য বাড়াতে পারে। উন্নত দেশে ৯৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেলেও, দরিদ্রতম দেশগুলোতে এই হার মাত্র ২৬ শতাংশ। ইউনিসেফের মতে, সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ব্যর্থ হলে, একটি সুবিধাবঞ্চিত প্রজন্ম আরও পিছিয়ে পড়বে। ইউনিসেফের এ প্রতিবেদন নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তিগত সুযোগ নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেয়।
    0 Comments 0 Shares 68 Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে মুডি’স



    দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের মান কমিয়েছে মুডি'স রেটিং। ১৮ নভেম্বর সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়া ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো মুডি'স এর স্থিতিশীল ক্যাটাগরি থেকে নেতিবাচক ক্যাটাগরিতে নামল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে মুডি'স।

    এদিকে, এ নিয়ে এক বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমাল আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও নানা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সরকারের ইস্যুয়ার ও সিনিয়র আনসিকিউরড রেটিং ‘বি১’ (B1) থেকে ‘বি২’-এ (B2) অবনমন করেছে সংস্থাটি। মুডি’সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঋণমান সংস্থা দুই বছর ধরেই দেশের ঋণমানে অবনমন ঘটাচ্ছে। বিষয়টিকে দেশের অর্থনীতি ও ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। মুডি’সের তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়া আর যে কয়টি দেশের বি২ রেটিং রয়েছে সেগুলো হলো কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, রুয়ান্ডা, নিকারাগুয়া, পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি।

    ঋণমান অবনমনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ করে দিয়েছে মুডি’স। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যমতে, ঋণমান ও অর্থনীতির পূর্বাভাস অবনমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিং ‘নট প্রাইম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয়’ হিসেবে অপরিবর্তিত থাকবে।

    মুডি’সের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে বাংলাদেশের ঋণমান কমানোর তথ্য জানিয়ে গতকালই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাপী মুডি’স, এসঅ্যান্ডপি ও ফিচ রেটিং—যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ তিন ঋণমান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান একত্রে ‘বিগ থ্রি’ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের ক্রেডিট রেটিং বাজারের সিংহভাগই এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের রেটিংয়ের মধ্য দিয়ে কোনো দেশের অর্থনৈতিক দৃঢ়তা, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রকাশ পায়। গত দুই বছরে এ তিন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই বাংলাদেশের ঋণমান কমানো হয়েছে।

    এর আগে গত বছরের ৩১ মে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে ‘বিএ৩’ থেকে ‘বি১’-এ নামিয়ে দেয় মুডি’স। আর ফিচ রেটিংস চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান অবনমন করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’-এ নামিয়ে দেয়া হয়। আর ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সময় গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশের সভরেন ক্রেডিট রেটিং (সার্বভৌম ঋণমান) অবনমন ঘটায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষায় দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং ‘বিবি মাইনাস’ (BB-) থাকলেও ওই সময় সেটি কমিয়ে ‘বি প্লাস’ (B+) করে দেয়া হয়।

    আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী তিন রেটিং প্রতিষ্ঠান ঋণমান কমিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি তথা বৈদেশিক বাণিজ্যের শর্তগুলো আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে দেশের ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ফি গোনার পাশাপাশি আরো কঠিন শর্তের মুখে পড়তে হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশী ঋণের সুদও বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সুপরিচিত বৃহৎ ব্যাংকগুলো বাংলাদেশী ব্যাংকের জন্য নিজেদের ক্রেডিট লাইন বা ঋণসীমা কমিয়ে দিচ্ছে বলে ব্যাংক নির্বাহীরা জানিয়েছেন।

    ঋণমান আরেক ধাপ কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে গতকাল মুডি’সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঋণমান অবনমনের সিদ্ধান্তে মূলত বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঝুঁকি বৃদ্ধি ও নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টিকে প্রতিফলিত করছে। এ বিষয়গুলো এসেছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা থেকে, যার ফলে সরকারও বদলে গেছে। এসব বিষয় সরকারের নগদ অর্থপ্রবাহের ঝুঁকি, বহিঃস্থ দুর্বলতা ও ব্যাংক খাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।

    মুডি’স মনে করে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে ঘাটতি পূরণে আরো বেশি স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলবে। এছাড়া সম্পদের গুণগত মানের ঝুঁকির কারণে ব্যাংক ব্যবস্থার পুঁজি ও তারল্যসংক্রান্ত দুর্বলতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে রাষ্ট্রের দায়সংক্রান্ত ঝুঁকিও বেড়েছে।

    প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি ও বিদেশী উন্নয়ন সহযোগীরা আরো বেশি ঋণ দিলেও বাংলাদেশের বহিঃস্থ দুর্বলতাসংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে বলে মত দিয়েছে মুডি’স। সংস্থাটি মনে করে, বহিঃস্থ দুর্বলতাসংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে কয়েক বছর ধরেই দেশের রিজার্ভ কমছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক ঝুঁকি বৃদ্ধি, একটি পরিষ্কার পথনির্দেশকের অনুপস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক উত্তেজনার পুনরাবির্ভাবের কারণে রাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে। net


    প্রতীকী ছবি
    বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে মুডি’স দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের মান কমিয়েছে মুডি'স রেটিং। ১৮ নভেম্বর সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়া ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো মুডি'স এর স্থিতিশীল ক্যাটাগরি থেকে নেতিবাচক ক্যাটাগরিতে নামল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে মুডি'স। এদিকে, এ নিয়ে এক বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমাল আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও নানা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সরকারের ইস্যুয়ার ও সিনিয়র আনসিকিউরড রেটিং ‘বি১’ (B1) থেকে ‘বি২’-এ (B2) অবনমন করেছে সংস্থাটি। মুডি’সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঋণমান সংস্থা দুই বছর ধরেই দেশের ঋণমানে অবনমন ঘটাচ্ছে। বিষয়টিকে দেশের অর্থনীতি ও ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। মুডি’সের তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়া আর যে কয়টি দেশের বি২ রেটিং রয়েছে সেগুলো হলো কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, রুয়ান্ডা, নিকারাগুয়া, পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি। ঋণমান অবনমনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ করে দিয়েছে মুডি’স। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যমতে, ঋণমান ও অর্থনীতির পূর্বাভাস অবনমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিং ‘নট প্রাইম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয়’ হিসেবে অপরিবর্তিত থাকবে। মুডি’সের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে বাংলাদেশের ঋণমান কমানোর তথ্য জানিয়ে গতকালই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাপী মুডি’স, এসঅ্যান্ডপি ও ফিচ রেটিং—যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ তিন ঋণমান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান একত্রে ‘বিগ থ্রি’ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের ক্রেডিট রেটিং বাজারের সিংহভাগই এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের রেটিংয়ের মধ্য দিয়ে কোনো দেশের অর্থনৈতিক দৃঢ়তা, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রকাশ পায়। গত দুই বছরে এ তিন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই বাংলাদেশের ঋণমান কমানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৩১ মে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে ‘বিএ৩’ থেকে ‘বি১’-এ নামিয়ে দেয় মুডি’স। আর ফিচ রেটিংস চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান অবনমন করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’-এ নামিয়ে দেয়া হয়। আর ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সময় গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশের সভরেন ক্রেডিট রেটিং (সার্বভৌম ঋণমান) অবনমন ঘটায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষায় দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং ‘বিবি মাইনাস’ (BB-) থাকলেও ওই সময় সেটি কমিয়ে ‘বি প্লাস’ (B+) করে দেয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী তিন রেটিং প্রতিষ্ঠান ঋণমান কমিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি তথা বৈদেশিক বাণিজ্যের শর্তগুলো আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে দেশের ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ফি গোনার পাশাপাশি আরো কঠিন শর্তের মুখে পড়তে হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশী ঋণের সুদও বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সুপরিচিত বৃহৎ ব্যাংকগুলো বাংলাদেশী ব্যাংকের জন্য নিজেদের ক্রেডিট লাইন বা ঋণসীমা কমিয়ে দিচ্ছে বলে ব্যাংক নির্বাহীরা জানিয়েছেন। ঋণমান আরেক ধাপ কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে গতকাল মুডি’সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঋণমান অবনমনের সিদ্ধান্তে মূলত বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঝুঁকি বৃদ্ধি ও নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টিকে প্রতিফলিত করছে। এ বিষয়গুলো এসেছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা থেকে, যার ফলে সরকারও বদলে গেছে। এসব বিষয় সরকারের নগদ অর্থপ্রবাহের ঝুঁকি, বহিঃস্থ দুর্বলতা ও ব্যাংক খাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। মুডি’স মনে করে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে ঘাটতি পূরণে আরো বেশি স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলবে। এছাড়া সম্পদের গুণগত মানের ঝুঁকির কারণে ব্যাংক ব্যবস্থার পুঁজি ও তারল্যসংক্রান্ত দুর্বলতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে রাষ্ট্রের দায়সংক্রান্ত ঝুঁকিও বেড়েছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি ও বিদেশী উন্নয়ন সহযোগীরা আরো বেশি ঋণ দিলেও বাংলাদেশের বহিঃস্থ দুর্বলতাসংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে বলে মত দিয়েছে মুডি’স। সংস্থাটি মনে করে, বহিঃস্থ দুর্বলতাসংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে কয়েক বছর ধরেই দেশের রিজার্ভ কমছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক ঝুঁকি বৃদ্ধি, একটি পরিষ্কার পথনির্দেশকের অনুপস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক উত্তেজনার পুনরাবির্ভাবের কারণে রাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে। net প্রতীকী ছবি
    0 Comments 0 Shares 67 Views 0 Reviews
  • Winter Rudeness
    >>>>শীতের শুষ্কতা ?   ====শীত মৌসুম আরামের হলেও ত্বকের জন্য তা মোটেও সুখকর নয়। শুষ্ক আবহাওয়ার বেড়াজালে ত্বকের অবস্থা নাজেহাল। আর এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা শীতকালে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য, শীতের শুষ্কতা যেন ত্বকে না পড়ে। সারা বছর ত্বক সতেজ থাকুক, ঔজ্জ্বল্য না হারাক- এমন প্রত্যাশা সবার। কোনো অনুষ্ঠান হোক বা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা হোক, সব কিছুতেই আগে মাথায়...
    0 Comments 0 Shares 69 Views 0 Reviews
  • Hiccup of mind
    >>>>হিককাপ অব মাইন্ড কী-  ====হিককাপ অব মাইন্ড বা মনের ঢেঁকুর বলে থাকে শুচিবাইকে। জীবনে যে কোনো সময়ে ২-৩ ভাগ লোক শুচিবাইয়ে আক্রান্ত হতে পারে।   >>>>কীভাবে বুঝবেন :  এর দুটি অংশ-  * প্রথম অংশটি হলো বারবার চিন্তা আসা। রোগীরা প্রায়ই বলে থাকে, ডাক্তার খালি টেনশন আসে। কোনো কোনো রোগীর দিনের শেষে রাতের বেলায় শুরু হয় বিশেষ কোনো ঘটনা বারবার মনে পড়া। আবার কেউ...
    0 Comments 0 Shares 69 Views 0 Reviews
  • Ginger
    >>>>দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আদা:   ====আদা কুচি বা আদা বাটা আমরা সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়ানোর কাজেই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি, আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এক নজরে দেখে নিন কি গুন আছে আদায়:   >>>আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।    >>>কাশি এবং হাঁপানির জন্য...
    0 Comments 0 Shares 68 Views 0 Reviews
  • Feet Crack
    >>>>>শীতে পা ফাটা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা: ==== শীত মৌসুমে পা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এই সাধারণ বিষয়ই অনেক সময় কপালে ফেলে চিন্তার ভাঁজ। মূলত শীত মৌসুমে অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। ফলাফল- পা ফাটা, ফ্রস্ট বাইট, নখ ওঠার মতো সমস্যা। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির (এএডি) একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ শীত মৌসুমে পায়ের সুরক্ষায় কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।  ...
    0 Comments 0 Shares 70 Views 0 Reviews
More Stories